Government School

ঘুরে দাঁড়াতে ইংরেজি মাধ্যম ও সহশিক্ষায় ‘আস্থা’ দুই স্কুলের

নিমতা হাইস্কুলের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ, শনিবার শুরু হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। স্কুলের শিক্ষক মলয়কুমার বিশ্বাস জানান, বছরভর নানা অনুষ্ঠান হয়ে দেড়শো বছরের উদ্‌যাপন শেষ হবে ২০২৫ সালের পয়লা জানুয়ারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:২১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে কোনও স্কুল ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদেরও পড়ানোর অনুমতি চাইছে শিক্ষা দফতর থেকে। কেউ আবার শিক্ষা দফতরকে প্রস্তাব দিচ্ছে স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু করার জন্য। শহরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি এ ভাবেই চাইছে ঘুরে দাঁড়াতে।

Advertisement

নিমতা হাইস্কুলের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ, শনিবার শুরু হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। স্কুলের শিক্ষক মলয়কুমার বিশ্বাস জানান, বছরভর নানা অনুষ্ঠান হয়ে দেড়শো বছরের উদ্‌যাপন শেষ হবে ২০২৫ সালের পয়লা জানুয়ারি। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলনের তাগিদে গড়ে উঠেছিল নিমতা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, যা এখন নিমতা হাইস্কুল। গত ১৫০ বছর ধরে প্রচুর কৃতী পড়ুয়া এই স্কুল থেকে পাশ করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছেন। তবে এটি নিমতাএলাকার সব থেকে পুরনো এবং উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম প্রাচীন ছেলেদের স্কুল হলেও আর পাঁচটা বাংলা মাধ্যম স্কুলের মতো এখানেও পড়ুয়া সংখ্যা কিছুটা কমেছে। মলয় বলেন, ‘‘দেড় হাজার থেকে কমে এখন ৮০০ জনের মতো পড়ুয়া রয়েছে আমাদের স্কুলে। এখানে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম চালু করার জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করেছি। সেই সঙ্গে স্কুল ভবনের পরিকাঠামো এবং বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষাগারগুলিও উন্নত করতে চাই।’’

অন্য দিকে, গল্ফ গ্রিন থানা এলাকায় গান্ধী কলোনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ, শনিবার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুরু হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, ৭৫ বছর আগে কলোনি এলাকায় বাংলাদেশ থেকে আসাউদ্বাস্তুদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জগতে আনতে উজ্জ্বল ভূমিকা নিয়েছিল এই স্কুল। বহু গরিব কৃতী ছাত্র এখান থেকে পাশ করে এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। এখনও বহু গরিব পড়ুয়া, হোমে থাকা অভিভাবকহীন পড়ুয়া এই স্কুলকে আঁকড়ে ধরেই বড়হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তবু নানা কারণে এই স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা বর্তমানে ১২০০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০-তে। আশিস বলেন, ‘‘স্কুলের পুনরুজ্জীবনের জন্য আরও ভাল পরিকাঠামো তৈরি করতে চাই। স্কুলে মেধাবী পড়ুয়াদের স্কলারশিপ, ল্যাপটপ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। নতুন নতুন বিষয় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আনছি। এই বিষয়ে প্রাক্তনীদেরও এগিয়ে আসার আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের স্কুল ছেলেদের। তবে এখন ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদেরও পড়ানোর অনুমতি চেয়ে শিক্ষা দফতরকে লিখেছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement