ফিরহাদ হাকিমের ডাকা কর্মশালায় গরহাজির কাউন্সিলররা। — ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার ১৪৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮৩ জন। কর্মশালার প্রথমার্ধের পরে তার মধ্যে থেকেও চলে গেলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরেরা। ফলে দিনের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব পর্যন্ত রইলেন মাত্র ২৫-৩০ জন।
শনিবার টাউন হলে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত ডেঙ্গি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালায় এ ভাবেই গরহাজির রইলেন অধিকাংশ কাউন্সিলর। বিরোধী বামফ্রন্টের দু’জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না বিজেপি ও কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা। ফলে কটাক্ষ করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিরোধীরা শুধু হইচই করতে জানেন। যাঁরা ডেঙ্গি নিয়ে সরব হয়েছিলেন, তাঁদেরই আজ খুঁজে পাওয়া গেল না।’’
বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘মানুষ যখন ডেঙ্গিতে মারা যাচ্ছিলেন, তখন পুরসভা সচেতন হয়নি। এখন কর্মশালা করে কী হবে? তাই যাইনি।’’ যা শুনে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলছেন, ‘‘কর্মশালায় এসে সজল মতামত দিতে পারতেন! এর আগে পাঁচ নম্বর বরোর বৈঠকেও উনি ছিলেন না।’’
অতীনের দাবি, ২০১১ থেকে কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। এ বার হাজিরা ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে কাউন্সিলরদের মধ্যে যাঁরা রাস্তায় নেমে কাজ করেন, তাঁরা সকলেই প্রশ্নোত্তর পর্ব পর্যন্ত হাজির ছিলেন বলে দাবি অতীনের। কর্মশালায় মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদারের আবেদন, যত্রতত্র ময়লা ফেললে পুরসভার তরফে শুধু নোটিস ধরালেই হবে না। তার পরেও যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা-ও দেখতে হবে। তা হলেই অন্যেরা যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা বা জল জমিয়ে রাখার মতো কাজ করবেন না।