—প্রতীকী ছবি।
আগামী কাল, রবিবার ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’য় লোক আনতে কলকাতা এবং শহরতলি ছাড়াও জেলা থেকে ভাড়া করা বাসের উপরেই আস্থা রাখছে রাজ্যের শাসকদল। সভার কারণে আজ, শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসে টান পড়তে পারে। পাশাপাশি রবিবার, সভার দিন কলকাতার এবং শহরতলির অধিকাংশ রুট কার্যত বাস-শূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রের খবর, ২১ জুলাইয়ের সভার মতো অনেক আগে থেকে বাস সংগ্রহের তৎপরতা শুরু না হলেও শুক্রবার থেকেই বাস নিয়ে তৎপরতা বেড়েছে রাজ্যের শাসকদলের। আগামী কালের সভায় মূলত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলি থেকে লোক আনার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
এসপ্লানেড এবং কলকাতা স্টেশন থেকে যে সব দূরপাল্লার বাস কলকাতার সঙ্গে জেলার যোগাযোগ রক্ষা করে, সে সবের বেশির ভাগই আজ, শনিবার থাকবে না বলেই মনে করছেন বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনের নেতৃত্ব। রবিবার সাধারণ ভাবে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় বেশ কিছুটা কম থাকে। কিন্তু কালকের জনসভার কারণে কলকাতা এবং লাগোয়া জেলার বিভিন্ন রুটে বাস কার্যত থাকবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’ সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা। সব মিলিয়ে জনগর্জন সভার জন্য কয়েক হাজার বাস নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
বি টি রোড, বারাসত, দমদম, নাগেরবাজার, নিউ টাউন, সাপুরজি আবাসন, জ্যাংড়া, হাতিয়াড়া, ই এম বাইপাস, বাসন্তী হাইওয়ে, বারুইপুর-সহ বিভিন্ন রুটের বেশির ভাগ বাস তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ এবং কলকাতা স্টেশনে যাঁরা আসবেন, সেই কর্মী-সমর্থকদের জন্য বেশ কিছু বাস দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু। সভার জন্য শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন উদ্যোগী হওয়ায় ওই দিন শহরের বিভিন্ন রুটে অটো চলার সম্ভাবনাও কম। সমাবেশের কারণে সরকারি বাসের একাংশও চলবে না বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে কাল, রবিবার পথে বেরোনো যাত্রীদের হয়রানির মুখে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।