প্রতীকী ছবি।
বিশ্বস্ত কর্মী ছুটিতে। বদলে যিনি কাজে রয়েছেন, পরিকল্পনা করে তাঁকেও উঁচু বেতনের চাকরির ইন্টারভিউ দিতে পাঠানো হয়েছিল। সেই সুযোগে নিজের লোককে দিয়ে কাজ করিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়েছিল ঠাকুরপুকুর থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে আব্দুল নাসির ও ইমতিয়াজ খান নামে ওয়াটগঞ্জের দু’জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শাহিদ আলি ও আব্দুল শাহবাজ ওরফে রিঙ্কু নামে দু’জন জেল হেফাজতে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার সখেরবাজারের বাসিন্দা হেমন্ত চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী ১১ অক্টোবর তাঁর এক কর্মীর বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিনই শাহিদ আলি নামে এক যুবককে ধরা হয়। তাকে জেরা করে ১৩ তারিখ ধরা হয় আব্দুল শাহবাজকে। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। দেখা হয় শহরের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ধৃত দু’জনের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান। সেই সূত্রেই গ্রেফতার হয় আব্দুল ও ইমতিয়াজ।
হেমন্তের সংস্থার এক কর্মী আকাশ টাকা লেনদেনের কাজ করতেন। ঘটনার কয়েক দিন আগে তিনি ছুটি নিয়েছিলেন। সেই কাজ দেখছিলেন সংস্থার অন্য কর্মী। শাহবাজ, নাসির ও ইমতিয়াজ টাকা হাতানোর ছক কষে ওই কর্মীকে মোটা বেতনের চাকরির ইন্টারভিউয়ে পাঠিয়ে দেয়। ওই দিনই হেমন্তের বাড়ি থেকে ৩০ লক্ষ টাকা তাঁর অফিসে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এক কর্মীকে দরকার ছিল। শাহিদকে সেই কাজে পাঠায় ষড়যন্ত্রীরা। কাউকে না পেয়ে শাহিদের উপরেই ভরসা করতে বাধ্য হন হেমন্ত। সেই টাকা নিয়েই পালায় শাহিদ। ধৃতদের জেরা করে কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ৩০ লক্ষ টাকার মধ্যে ২৭ লক্ষ ৬ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে।