ফাইল চিত্র।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হাওড়ার মঙ্গলাহাট চালু করার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। বুধবার কোভিড নিয়ে জেলা টাস্ক ফোর্সের অনলাইন বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ-ও ঠিক হয়েছে, যে জায়গায় ওই হাট বসে, সেই হাওড়া ময়দান চত্বরে এখন আর তা বসবে না। ফুটপাতে বসা খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য শালিমারের ডিউক রোড বা অন্য কোনও জায়গায় বসার ব্যবস্থা করা হবে। যে ১১টি ভবনে ওই হাট বসে, সেখানে কোভিড-বিধি মেনে কী ভাবে হাট আবার চালু করা যায়, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শীঘ্রই বৈঠক হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে এ দিন জানানো হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে গত ২৪ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় হাওড়ার মঙ্গলাহাট। যার জেরে বিপাকে পড়েন ৬০-৭০ হাজার ব্যবসায়ী। গত জুনে ‘আনলক’ পর্ব শুরু হওয়ায় পর থেকেই জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে হাট খোলার আর্জি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমতি না মেলায় জেলা প্রশাসন হাট চালু করতে পারেনি।
মঙ্গলাহাট চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই কোভিডের জন্য গঠিত জেলা টাস্ক ফোর্স এ দিন অনলাইন বৈঠকে বসে। তাতে অংশ নেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ভবানী দাস-সহ প্রশাসনের পদস্থ অফিসারেরা।
বৈঠকের পরে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে এলাকায় আগে হাট বসত, সেখানে হাওড়া জেলা হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর থাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই কোভিড পরিস্থিতিতে হাট ওখানে বসবে না। এখন ভয়টা হল, লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গেলে ওই হাটে যে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে, তাতে করোনা ভয়াবহ আকার নিতে পারে।’’
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয়বাবু বলেন, ‘‘সামনে দুর্গাপুজো। সে কথা ভেবেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের জন্য অন্যত্র বসার ব্যবস্থা হচ্ছে। যাঁরা বিভিন্ন বাড়ির ভিতরে থাকা দোকানে বসেন, তাঁরা দোকান কী ভাবে খোলা রাখবেন, তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে।’’