সুদর্শন মুখোপাধ্যায়
রাত হয়ে গেলেও ছেলে অফিস থেকে বাড়ি না ফেরায় দেখে চিন্তায় পড়েছিলেন বরাহনগরের এক দম্পতি। স্থানীয় থানায় জানানোর পাশাপাশি খোঁজখবর করেন পার্শ্ববর্তী জেলার বালি থানাতেও। সেখানকার তদন্তকারীরা ছেলেটির মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখেন, সেটি রয়েছে বালি বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে। এর পরেই বালি ব্রিজ থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের ব্যাগ, মোবাইল ও সাইকেল। তবে তাঁর খোঁজ মেলেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে। পুলিশ সূত্রের খবর, বছর চব্বিশের সুদর্শন মুখোপাধ্যায় বরাহনগরের সিঁথির মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। প্রতিদিনই সকালে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে বি টি রোডে যেতেন। সেখানে সাইকেল রেখে অফিসের গাড়িতে কাজে যেতেন। পরিজনেরা জানান, শনিবারও সকালে বেরিয়েছিলেন সুদর্শন। তবে রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফেরেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অফিসে গিয়েছিলেন। এর পরেই বরাহনগর থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা। এক পরিচিতের মাধ্যমে বালি থানাতেও বিষয়টি জানান। তার পরেই বালি থানার পুলিশ সুদর্শনের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে।
পুলিশ জানায়, বালি সেতুর দক্ষিণেশ্বর থেকে আসার রাস্তায় তিন নম্বর স্তম্ভের কাছে ফুটপাতের উপরে পড়ে ছিল সাইকেলটি। পাশে ছিল একটি ব্যাগ। সেটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, ভিতরে রয়েছে কিছু খাবার এবং মানিব্যাগ। তদন্তকারীরা মানিব্যাগ থেকে আধার কার্ড, ডেবিট কার্ড এবং ৭৪ টাকার পাশাপাশি একটি চিরকুটও উদ্ধার করেন। তাঁদের দাবি, ওই চিরকুটে নিজের হতাশার কথা লিখে রেখেছিলেন সুদর্শন।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, একটি সংস্থা থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই যুবক। তা শোধ করা নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। রবিবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা গঙ্গায় তল্লাশি চালালেও সুদর্শনের খোঁজ মেলেনি।