প্রতীকী ছবি।
বাবাকে খুন করে সরাসরি থানায় হাজির হল ছেলে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার শ্রীখণ্ডা এলাকার সোনাপোঁতায়। মৃতের নাম শঙ্কর মণ্ডল (৫০)। পুলিশ তাঁর ছেলে বুবাই মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাবার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মারে বুবাই। তখন মত্ত অবস্থায় ছিলেন শঙ্করও। মারধরের পরে বাবা ও ছেলে দু’জন আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বুধবার সকালে ডাকাডাকির পরেও চোখ খোলেননি শঙ্করবাবু। স্থানীয় চিকিৎসকেরা শঙ্করবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, এর পরেই নরেন্দ্রপুর থানায় এসে দোষ স্বীকার করে বুবাই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্করবাবু তেমন কিছু কাজ করতেন না। মদ্যপান করার অভ্যাস ছিল তাঁর। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে খাবার চেয়ে খেতেন তিনি। এই নিয়ে বুবাইকে প্রতিবেশীরা কটূক্তি করতেন। মঙ্গলবার রাতেও কয়েক জন কটূক্তি করেন। বাড়ি ফিরে বাবার উপরে চড়াও হয় সে। বাবাকে মারধর করায় স্থানীয় কয়েক যুবক এসে বুবাইকে পাল্টা মারধর করে। ওই যুবকেরা চলে যাওয়ার পরে বুবাই ফের বাবার উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে ইট ও পরে হাতুড়ি দিয়ে বাবার মাথায় মারে সে। জখম অবস্থাতেই শুয়ে পড়েছিলেন শঙ্করবাবু।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, শঙ্করবাবুর মাথায় গুরুতর চোট ছিল। ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
শঙ্করবাবুর স্ত্রী মঞ্জু মণ্ডল বলেন, ‘‘রাতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু উনি খাবার না খেয়েই শুয়ে পড়েছিলেন। অনেক বেলা হয়ে যাওয়ার পরেও না ওঠায় দেখি, উনি মারা গিয়েছেন।’’