সম্পর্ক জুড়তে আপত্তি, প্রেমিকার ছেলেকে অপহরণ

১১ বছরের ওই বালককে উত্তরপ্রদেশের ফাতেনপুর জেলার পুরেপান্ডে কানেওয়ারা থেকে উদ্ধার করে টালা থানা। বৃহস্পতিবার তাকে কলকাতায় নিয়ে এসে শিশু কল্যাণ সমিতিতে হাজির করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ০১:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন প্রাক্তন প্রেমিকা। অভিযোগ, তাই ভয় দেখিয়ে সেই সম্পর্ক জোড়া লাগাতে ওই মহিলার ছেলেকে অপহরণ করেছিলেন যুবক। শহরের বুকে এক শিশুর অপহরণের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে টালা থানার পুলিশ। তিন সপ্তাহের চেষ্টায় গত রবিবার উত্তরপ্রদেশ থেকে পুলিশ অপহৃত বালকটিকে উদ্ধার করেছে। তবে ফিরোজ খান ওরফে সুলতান হাসমি নামে ওই যুবক তথা অপহরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফেরার বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, ১১ বছরের ওই বালককে উত্তরপ্রদেশের ফাতেনপুর জেলার পুরেপান্ডে কানেওয়ারা থেকে উদ্ধার করে টালা থানা। বৃহস্পতিবার তাকে কলকাতায় নিয়ে এসে শিশু কল্যাণ সমিতিতে হাজির করানো হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই মহিলা তাঁর ছেলেকে নিয়ে মুম্বইয়ে থাকতেন। বছর পাঁচেক আগে সেখানেই ফিরোজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সম্প্রতি গোলমাল হওয়ায় ওই মহিলা উত্তর কলকাতার গ্যালিফ স্ট্রিটে তাঁর বোনের বাড়িতে এসে ওঠেন। ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, এর পরে ফিরোজ কলকাতায় এসেছিলেন তাঁদের মুম্বই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু মহিলা রাজি হননি। এর পরে গত ১৬ মে ওই বালক নিখোঁজ হয়। ২৪ মে ওই মহিলার কাছে ছেলের খবর দেওয়ার কথা বলে একটি ফোন আসে। মহিলা পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলে সম্বন্ধে স্পষ্ট কোনও খবর দেওয়া হয়নি।

Advertisement

একটি সূত্রের দাবি, ওই ফোনের টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে যে, ফাতেনপুর থেকে ওই মহিলার কাছে ফোনটি এসেছিল। কিন্তু টালা থানার পুলিশ সেখানে গেলেও প্রথমে ওই বালক কিংবা যিনি ফোন করেছিলেন তাঁর কোনও খোঁজ পায়নি। এর পরে সেই ফোনের সূত্র ধরেই নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাতে উত্তরপ্রদেশেরই ফুলপুরের এক যুবকের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছেন ফিরোজ।

তদন্তকারীরা জানান, ওই সূত্র মারফতই জানা যায় ফাতেনপুর জেলার পুরেপান্ডে কানেওয়ারা গ্রামে রয়েছেন ফিরোজ। সেই মতো স্থানীয় থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে টালা থানার তদন্তকারীদের দলটি রবিবার রাতে সেখানে হানা দিয়ে ওই বালককে উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর আগেই পালিয়ে যান ফিরোজ। উত্তরপ্রদেশের শিশু কল্যাণ সমিতির নির্দেশ মতো ওই বালককে নিয়ে বুধবার কলকাতায় পৌঁছন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বালক গ্যালিফ স্ট্রিটে তার মাসির বাড়িতে থাকার সময়ই ফিরোজ সেখানে আসেন। মহিলা মুম্বইয়ে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে ফিরোজ ওই বালককে অপহরণ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে, বালকটির সঙ্গে ফিরোজের সম্পর্ক ভাল। ফলে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ঘটনার দিন ফিরোজ বালকটিকে নিয়ে মহিলার বোনের বাড়ি থেকে বেরোন। এবং পরে তাকে ট্রেনে চাপিয়ে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়িতে চলে যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement