Coronavirus

মাস্ক পাঠাতে গিয়ে ‘প্রতারিত’, গায়েব টাকা

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। অভিযোগকারী অমল মহাজন গাঙ্গুলিবাগানের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী গোপাদেবী আত্মীয়দের সঙ্গে গত ১২ মার্চ উত্তর ভারত যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

দল বেঁধে উত্তর ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দা এক মহিলা। ফিরে আসার আগেই লকডাউন শুরু হয়ে
যাওয়ায় আটকে পড়েন তিনি। মাস্ক না-মেলায় কলকাতায় থাকা স্বামীকে তা পাঠাতে বলেন। আর সেই মাস্ক পাঠাতে গিয়েই প্রতারকদের খপ্পরে পড়লেন ওই ব্যক্তি। পাঁচ হাজার টাকা খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। অভিযোগকারী অমল মহাজন গাঙ্গুলিবাগানের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী গোপাদেবী আত্মীয়দের সঙ্গে গত ১২ মার্চ উত্তর ভারত যান। ২৩ তারিখ ফেরার কথা থাকলেও লকডাউনে আটকে পড়েন বৃন্দাবনে। ওই অবস্থায় গোপাদেবী তাঁর জন্য মাস্ক কিনে পাঠাতে বলেন স্বামীকে। অমলবাবু জানান, তিনি কুরিয়র মারফত মাস্ক পাঠাবেন ঠিক করেছিলেন। সেই মতো ইন্টারনেট থেকে একটি সংস্থার ফোন নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করেন।
অমলবাবুর অভিযোগ, ওই নম্বরে ফোন করার পরে এক জন জানান, তাঁদের প্রতিনিধি পরে ফোন করছেন। এর পরেই এক জন ফোন করে অমলবাবুকে জানান, কুরিয়র বুক করার জন্য দশ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অমলবাবুর ওই অ্যাকাউন্টে মাত্র এক হাজার
টাকা ছিল।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় কোন কোন পাড়া স্পর্শকাতর, তালিকা দিল রাজ্য

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই টাকা পাঠানোর আগেই ফের অভিযোগকারীকে ফোন করে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। অমলবাবু প্রথমে দিতে রাজি না-হলেও পরে তাঁর মোবাইলে আসা তথ্য পাঠিয়ে দেন নির্দিষ্ট নম্বরে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি এসএমএস পান, তাঁর দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বুঝে অমলবাবু তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন বন্ধ করে দেন। অভিযোগ জানান গোয়েন্দা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখায়।

গত সপ্তাহে ঠিক একই কায়দায় কুরিয়রের মাধ্যমে দুবাইয়ে ওষুধ পাঠাতে গিয়ে প্রতারকের পাল্লায় পড়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খুইয়েছিলেন সেলিমপুর রোডের এক বাসিন্দা। লালবাজার জানিয়েছে, গোটা দেশ ঘরবন্দি। এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে অনলাইনে প্রতারকেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই অনলাইনে আর্থিক লেনদেনে শহরবাসীকে বারবার সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement