মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ ফয়জলের। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
নাখোদা মসজিদের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল এক ব্যক্তিকে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মসজিদের তিনতলায় বছর পঁয়ত্রিশের ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মসজিদের কর্মীরা।
তাঁরাই খবর দিলে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
মসজিদের ইমাম সফিক কাশমি বলেন,“শুক্রবার জুম্মার নমাজের দিন ছাড়া তিনতলা সাধারণত ফাঁকাই থাকে। এ দিন সকালে মসজিদের কর্মীরা তিনতলা পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখেন, একজন মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মাথা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। পাশে পড়ে একটা রক্তমাখা হাতুড়ি!”
আরও পড়ুন: রাজীব গাঁধীর ‘১৫ পয়সা’ তত্ত্ব তুলে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী
আরও পড়ুন: মমতা সরকারকে উপড়ে ফেলব: শাহ, বিজেপির দিন শেষ, পাল্টা বলল তৃণমূল
ইমামের দাবি, ফজর অর্থাৎ ভোর বেলা ৫টা ৪০ মিনিটের নমাজের পরেও কর্মীরা উপরের তলায় গিয়েছিলেন। তখন কেউ কিছু দেখেননি। তার মানে ভোরের নমাজের পর ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ আহতের জ্ঞান ফেরে। ওই ব্যক্তি নিজের নাম বলেছেন শেখ ফয়জল। বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি মসজিদের কাছেই জেলিয়াটোলা এলাকায় থাকেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ফয়জল তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরেছেন তাঁকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তবে, তাঁর নাম তিনি জানেন না।
ঘটনাস্থলে এ দিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা গিয়েছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের।