Cyber Fraud

সাইবার প্রতারণায় লোপাট ৩৫ হাজার

দিন কয়েক আগে এ ভাবেই ৩৫ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে বরাহনগরের নিয়োগীপাড়ার বাসিন্দা, স্কুল শিক্ষক অর্ণব ভট্টাচার্যের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০১:৫৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কে না গিয়ে বাড়িতে বসেই ডেবিট কার্ড ‘আপগ্রেডেশন’ করে এটিএম থেকে বেশি টাকা তোলা যাবে। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই এক স্কুল শিক্ষকের কয়েক হাজার টাকা গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষকের দাবি, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে ফো‌ন করে তাঁকে বলা হয়েছে, ‘‘পুলিশে জানাবেন না। তা হলে টাকা ফেরত পাবেন না!’’

Advertisement

দিন কয়েক আগে এ ভাবেই ৩৫ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে বরাহনগরের নিয়োগীপাড়ার বাসিন্দা, স্কুল শিক্ষক অর্ণব ভট্টাচার্যের। শুক্রবার তিনি ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নারকেলডাঙার একটি স্কুলের ওই শিক্ষকের ফোনে চার দিন আগে এক জন নিজেকে ওই ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ের কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করেন। শিক্ষককে জানানো হয়, ফোনের মাধ্যমেই ডেবিট কার্ডের মাইক্রোচিপের আপগ্রেডেশন করা হচ্ছে। তাতে এটিএম থেকে টাকা তোলার নির্দিষ্ট মাত্রার পরিমাণ বেড়ে যাবে। অর্ণব বলেন, ‘‘যে নম্বরটিতে ফোন এসেছিল, সেটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক করা। আমিও ব্যাঙ্কে গিয়ে ওই কাজটি করতে পারি, লোকটি এমন বলায় আমারও সন্দেহ হয়নি।’’

কথার মাঝেই অর্ণবের থেকে আর একটি ফোন নম্বর চাওয়া হয়। এর পরে সেই নম্বরে সাঙ্কেতিক ভাষায় বিভিন্ন মেসেজ আসলে অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া অন্য একটি নম্বরে সেগুলি ফরোয়ার্ডও করেন অর্ণব। তিনি বলেন, ‘‘টেকনিক্যাল মেসেজ ভেবে কয়েকটা মেসেজ ওঁকে ফরোয়ার্ড করেই সন্দেহ হয়।’’ এর পরে আর কথা বলেননি অর্ণব। ইতিমধ্যে ২৩ মিনিটের কথোপকথনের পরেই তিনি দেখেন অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার টাকা গায়েব। অর্ণব জানান, বিকেলে ফের ওই নম্বরেই কথা বলে তিনি টাকা ফেরত চান। তিনি বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি দাবি করেন ভুল করে টাকা কাটা হয়েছে। তবে পুলিশে বললে আর ফেরত হবে না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement