Brawl

ভাইপোর সঙ্গে মারামারি, ‘ঝাঁপ’ দিয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইপো অনুপের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন ওই প্রৌঢ়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২০ ০১:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক প্রৌঢ়ের রহস্য-মৃত্যু ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়াল লিলুয়া এলাকার চামরাইলের ১ নম্বর দেবীরপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুব্রত সরকার (৫৪)। এ দিন সকালে সম্পত্তি নিয়ে তাঁর সঙ্গে বচসা বাধে ভাইপো অনুপ সরকারের। অভিযোগ, সে সময়ে দু’জনে পরস্পরকে স্ক্রু-ড্রাইভার এবং হাতুড়ি নিয়ে আক্রমণ করেন। মারামারিতে গুরুতর জখম হন অনুপ। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এরই মধ্যে দেখা যায়, বাড়ির সামনের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন সুব্রত। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, গোলমাল চলাকালীন এক ফাঁকে শৌচাগার পরিষ্কার করার রাসায়নিক ও ফিনাইল খেয়ে নেন সুব্রত। তার পরে বাড়ির ছাদে উঠে ঝাঁপ দেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইপো অনুপের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন ওই প্রৌঢ়। বহু দিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল চলছিল। জানা গিয়েছে, এক বছর আগে অনুপের স্ত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল সুব্রতর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে তিন মাস জেল খাটেন তিনি। জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে আসার পরে অশান্তি চরমে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, তারও আগে ২০১৫ সালে জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের গোবিন্দ হাজরাকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে ছিলেন সুব্রত। তখনও তিনি গ্রেফতার হয়ে কয়েক মাস জেলে ছিলেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে এ দিন সকালে ভাইপোর পরিবারের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় সুব্রতর। তা গড়ায় মারামারিতে। অভিযোগ, দু’জনে স্ক্রু-ড্রাইভার ও হাতুড়ি নিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করেন। কাকার হাতুড়ির ঘায়ে অনুপের মাথা ফেটে যায়। গোটা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় স্ক্রু-ড্রাইভারের আঘাতে। স্বামীর ওই অবস্থা দেখে অনুপের স্ত্রী পাপিয়া সরকার চিৎকার শুরু করলে পাড়ার লোকজন ছুটে আসেন। পুলিশের দাবি, সেই সময়ে বাড়ির একতলা থেকে শৌচাগার পরিষ্কার করার রাসায়নিক ও ফিনাইল খেয়ে দোতলার ছাদে উঠে যান সুব্রত। তার পরে নীচে ঝাঁপ দেন।

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জগদীশপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে প্রথমে জগদীশপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত

বলে জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement