Man Arrested

Fake Police Arrested: ই-চালানের সূত্রেই ধৃত এক ভুয়ো পুলিশ

তদন্তে নেমে বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাতে গাড়ির নম্বর শনাক্ত করা হয়। সাদা রঙের গাড়িটিতে ছিল বিহারের নম্বর প্লেট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

অপরাধ করে পালানোর সময়ে ট্র্যাফিক আইন ভেঙেছিল অভিযুক্ত ভুয়ো পুলিশ। সেটাই কাল হল তাদের। পুলিশের ই-চালানে থাকা নম্বরের সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের এক
জনকে পাকড়াও করল লালবাজার। পুলিশের পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণায় অভিযুক্ত বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।

Advertisement

ধৃতের নাম মহম্মদ দিলশাদ। তার বাড়ি বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার স্যর সৈয়দ আহমেদ রোডে। শুক্রবার রাতে জোড়াবাগান থানার তদন্তকারীরা তাকে গ্রেফতার করেন মিন্টো পার্ক এলাকা থেকে। ধৃতকে শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। বাকিদের খোঁজ পাওয়ার জন্য দিলশাদকে জেরা করতে পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানায়। আদালত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত তার পুলিশি হেফাজত দেয়।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৬ মার্চ বিকেলে। পুলিশ সূত্রের খবর, বর্ধমানের দুই ব্যবসায়ী জোড়াবাগান থানা এলাকার নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে কাজে এসেছিলেন। অভিযোগ, একটি সাদা রঙের বড় গাড়িতে চেপে এসে কয়েক জন নিজেদের লালবাজারের পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দেয়। দুই ব্যবসায়ীকে তারা গাড়িতে উঠতে বলে। অভিযোগকারীদের দাবি, বলা হয়েছিল যে, লালবাজার থেকে তাঁদের ডাক এসেছে। রীতিমতো ভয় দেখিয়ে তাঁদের ওই গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে দু’জনের কাছ থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা, ব্যাঙ্কের চেক বই এবং এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। কাজ হাসিল করে কলকাতা স্টেশনের কাছে দুই ব্যবসায়ীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে ওই দিনই তাঁরা জোড়াবাগান থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

তদন্তে নেমে বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাতে গাড়ির নম্বর শনাক্ত করা হয়। সাদা রঙের গাড়িটিতে ছিল বিহারের নম্বর প্লেট। ট্র্যাফিক বিভাগে গাড়িটির সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, সেটি ওই দিনই ফেরার পথে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজ়ার কাছে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। বিদ্যাসাগর ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সৌভিক শীল জরিমানা করেন চালককে। এক তদন্তকারী জানান, বর্তমানে ই-চালানের মাধ্যমে ট্র্যাফিক আইনভঙ্গকারীকে জরিমানা করা হয়। এর পরেই জরিমানার চালান অভিযুক্ত চালকের মোবাইলে চলে যায়। ওই দিন সার্জেন্ট সে ভাবেই জরিমানা আদায় করেছিলেন।

পুলিশ জানায়, চালকের দেওয়া মোবাইল নম্বরের সূত্রেই অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়। তাতেই দিলশাদের খোঁজ মেলে। শুক্রবার রাতে তাকে মিন্টো পার্ক থেকে জোড়াবাগান থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিলশাদের দাবি, বাকিরা বিহারের বাসিন্দা। তারা কলকাতার পিকনিক গার্ডেন রোডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। ঘটনার পরে তারা পালিয়ে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement