প্রতীকী ছবি।
কাটারি দিয়ে জামাইবাবুকে কোপানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল শ্যালককে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সার্ভে পার্ক থানার কালিকাপুরের পূর্বপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কমল শিকদার। অভিযুক্ত জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে, দিদির উপরে দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার কারণেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দেড়েক আগে পূর্বপল্লি এলাকার বাসিন্দা চম্পা শিকদারের সঙ্গে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা রাহুল মিরবরের বিয়ে হয়েছিল। রাহুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে ছিল। সেই কারণে বছর খানেক আগে বাড়িতে ফিরে আসেন চম্পা।
অভিযোগ, এর পরেও নানা সময়ে পূর্বপল্লির বাড়িতে এসে চম্পাকে মারধর করতেন রাহুল। চম্পার বাবা প্রভাস শিকদার বলেন, ‘‘দু’জনের এক রকম ছাড়াছাড়িই হয়ে গিয়েছিল বলা যায়। মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। ফের পড়াশোনা শুরু করেছিল। কিন্তু তবু তাকে মাঝেমধ্যেই কটূক্তি করত রাহুল।’’ এক রকম জোর করে রাহুল তাঁকে বিয়ে করেছিলেন বলেও অভিযোগ করছেন চম্পা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন রাতে চম্পাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মাঠে বসে এলাকার ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন রাহুল। সেই সময়ে সেখান দিয়ে বাড়ি ফিরছিল চম্পার ভাই কমল। তখন মাঠেই কমলের সঙ্গে রাহুলের বচসা বাধে। এর পরে বাড়ি ফিরে আখ কাটার একটি কাটারি নিয়ে ফের বেরিয়ে যায় কমল। তার বাবা প্রভাসবাবু আখের রস বিক্রি করেন। তাই আখ কাটার একটি কাটারি বাড়িতে ছিল। সেই কাটারি দিয়েই কমল রাহুলের উপরে কোপ মারে বলে অভিযোগ। তার পরে ফেরার হয়ে যায় কমল। মঙ্গলবার ভোরে অজয়নগর এলাকা থেকে ধরা হয় তাকে। উদ্ধার হয়েছে কাটারিটিও। গুরুতর জখম অবস্থায় রাহুলকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত কমল জানিয়েছে যে, দিনের পর দিন দিদির উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন রাহুল। সেই আক্রোশেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। তবে চম্পাদের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার পর থেকে রাহুলের ঘনিষ্ঠেরা বাড়িতে এসে নানা ভাবে শাসিয়ে যাচ্ছে। সার্ভে পার্ক থানা জানিয়েছে, ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি রয়েছে।