প্রতীকী ছবি।
শরবত প্রস্তুতকারক একটি সংস্থা থেকে অল্প অল্প করে প্রায়ই টাকা সরিয়ে নিয়েছিলেন হিসাবরক্ষক। বিষয়টি বুঝতেই পারেননি মালিক। লকডাউনের সময়ে হিসেব মেলাতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, ওই কর্মী গত ছ’-সাত বছরে অন্তত ৫২ লক্ষ টাকা সরিয়েছেন। আর এই পুরো কাজটাই তিনি করেছেন সই জাল করে। সংস্থার মালিক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে পোস্তা থানা ওই হিসাবরক্ষক প্রদীপ দাসকে বারাসত থেকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পোস্তার ওই শরবত প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিক সম্প্রতি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে জানান, লকডাউনের সময়ে সংস্থার হিসেব মেলাতে গিয়ে গরমিল নজরে পড়ে তাঁর। গরমিল দেখে ব্যাঙ্কে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন, সংস্থার চেকের মাধ্যমেই টাকা তোলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আর সেই চেকে তাঁরই সই ছিল। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন সংস্থার মালিক।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথি, চেক, ভাউচার— সবই প্রদীপের হাতে ছিল। এর পরে ব্যাঙ্কের কাছে পুলিশ চেকের সই মেলাতে গিয়ে দেখে, সেগুলি জাল। এর পরেই সোমবার বিকেলে ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের উপর থেকে প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে মনোদীপ দাশগুপ্তের এজলাসে ধৃতকে তোলা হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতে সরকারি কৌঁসুলি দীপনারায়ণ পাকড়াশি জানিয়েছেন, সংস্থার টাকা তছরুপের ঘটনায় ধৃতের সরাসরি হাত রয়েছে।