প্রতীকী ছবি।
একাধিক ওয়েবসাইট খুলে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের টেন্ডার ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায়, পার্ক স্ট্রিট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়।
পুলিশি সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ি কসবার রথতলায়। একাধিক সংস্থার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, লকডাউনের সময়ে কয়েকটি ওয়েবসাইট খোলে সে। বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একাধিক ওষুধ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ ভাবেই বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থাকে টোপ দিয়ে ২৬ কোটি টাকা হাতানো হয় বলে অভিযোগ। ভুয়ো নথি তৈরি করে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকের সই ও স্ট্যাম্প নকল করে সেই সংস্থাকে পাঠায়। নথি স্বাস্থ্য দফতরে গেলে সব পরিষ্কার হয়। প্রথমে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই সংস্থা। পরে আনন্দপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতার একটি সংস্থাকে দরপত্র পাইয়ে দেওয়ার নামে ন’কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল শেক্সপিয়র সরণি থানায়। যা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বুধাদিত্য। হাই কোর্ট অভিযুক্তকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। সোমবার শেক্সপিয়র সরণি থানায় যায় বুধাদিত্য। সন্ধ্যায় বেরোতেই তাকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ।
এ দিন সরকারি আইনজীবী রাধানাথ রং বলেন, ‘‘ভিন্ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দরপত্রও পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিত ওই ব্যক্তি।’’