ফাইল চিত্র।
কলকাতার সঙ্গে সংযোগকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কোনা এক্সপ্রেসওয়ের যানজট নিয়ে আগেও একাধিক বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সাঁতরাগাছি সেতুতে এক দুর্ঘটনায় অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে তিনি নিজে সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, কী ভাবে যানজট ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে। কিছু ব্যবস্থা নেওয়াও হয়েছে। এ বার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী রাতের কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন।
বৃহস্পতিবার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্প-বাণিজ্য মহলের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, রাত বাড়লেই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে। যানজট চলছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এই অভিযোগ শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরের কাছে জানতে চান, ‘‘কলকাতা পুলিশ কি রাত ন’টার আগে লরি কলকাতায় ঢুকতে দিচ্ছে না?’’ পুলিশ কমিশনার সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ রাত ন’টার আগে লরি ঢুকতে না দেওয়ায় দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে। চার-পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে। যানজট হচ্ছে। এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
এর পরেই তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেন, গাড়ি ঢোকার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ ও হাওড়া পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। গাড়িগুলি নিবেদিতা সেতু বা অন্য কোনও দিক দিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসা যায় কি না, তা-ও দেখতে বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের সুপার সৌম্য রায়ের কাছে জানতে চান, রাস্তায় নিয়মিত নাকা-তল্লাশি হচ্ছে কি না। বিশেষ করে কোলাঘাটের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিতে নিয়মিত তল্লাশি হচ্ছে কি? তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন প্রেস ও পুলিশের স্টিকার মেরে বিভিন্ন গাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র, মাদক পাচার হচ্ছে। তাই নাকা-তল্লাশি নিয়মিত করতে হবে।’’ পুলিশ সুপার জানান, কোলাঘাটের দিকে তল্লাশির উপযুক্ত জায়গা থাকায় সেখানে হয়। এ পারে জনবহুল জায়গা হওয়ায় করা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, ‘‘এই সমস্ত ফাঁকই দুষ্কৃতীরা খোঁজে। তাই ওই দিক থেকে আসা গাড়িগুলিরও এ দিকে নাকা-তল্লাশি করতে হবে।’’