নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত
রেশন ডিলারদের লাইসেন্স নবীকরণের সময় ১ বছর থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৩ বছর। ‘অন্নে অনন্যা বাংলা’ নামে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইজ শপ ডিলার্স ফেডরেশনের রাজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে রেশন ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের কার্যনির্বাহী মুলধন ৫ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ২ লক্ষ টাকা করার কথা সোমবার ঘোষণা করেন তিনি। এ ছাড়া, রেশন ডিলাররা যদি কর্মরত অবস্থায় প্রয়াত হন, তা হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্যও দেওয়া হবে।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের ভাষণে মমতা রেশন ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আপনারাও করোনা যোদ্ধা। প্রথম সারিতে থেকে আপনারা লড়াই করেছেন। কৃষক থেকে শুরু করে পরিবেশক বা ডিলার, সকলেই করোনা যোদ্ধাদের তালিকাতেই পড়েন।’’
রেশন ব্যবস্থায় গোলমাল নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী নরমে-গরমে বুঝিয়ে দেন, ডিলারদের সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, "অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, ১০০ জনের মধ্যে হয়তো ৫ জন রেশন নিলেন না। সেই ৫ জনের নাম নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের প্রাপ্য রেশন বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। এমন যাতে না ঘটে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।"
করোনার সময় সাধারণ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেশন ডিলারদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আগের থেকে অনেকটাই কমিশন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিজিটাল রেশন কার্ড করা হয়েছে, কুপনে রেশন দেওয়া হচ্ছে। কম্পেনসেসন গ্রাউন্ডে আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৬০ দিন থেকে ১২০ দিন করা হয়েছে। প্রয়াত রেশন ডিলারের স্ত্রী, সন্তানরা আবেদন করে এই সুযোগ এখন নিতে পারছেন। সব মিলিয়ে আগের থেকে ডিলারদের অবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। সেই কারণে যে ভাবে তাঁরা করোনার সময় সাধারণ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন, আগামী দিনেও যেন দিয়ে যান।
সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকেও আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার অন্ধ্র্প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ চাল কেনে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেনে মোটে ৬৯ হাজার টন। রাজ্য সরকার কেনে ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন। রেশন পরিষেবা নিয়ে বিরোধীদের করা অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি। বলেন একটা-দুটো ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। দলবদল নিয়েও সোমবার তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটা চোর ডাকাত অনেক টাকা করে ফেলেছে। গোবর্ধনের কাছে জমা রাখতে যাচ্ছে। বিজেপি তো ওয়াশিং মেশিন।’’