চলছে নির্মাণকাজ। নতুন রূপের মাঝেরহাট ব্রিজ দেখতে হবে অনেকটা দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো। —নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আগেই চালু হয়ে যেতে পারে নতুন রূপের মাঝেরহাট ব্রিজ। দেখতে হবে অনেকটা বিদ্যাসাগর সেতুর মতো। ডায়মন্ড হারবার রোডে যে হেতু ভারী যানবাহন চলাচল করে, সে কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে সেতু।
মাঝেরহাট বিপর্যয়ের এক বছরের মধ্যে সেতু তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্য এবং রেলের মধ্যে টানাপড়েনের কারণে বহু বার কাজ থমকে গিয়েছে। রেললাইনের উপরে সেতু তৈরির ছাড়পত্র দেননি ‘রেলওয়ে সেফ্টি কমিশনার’ (সিআরএস)। এ নিয়ে দু’পক্ষই একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। তবে এখন আর কোনও সমস্যা নেই।
করোনা আবহে যাত্রিবাহী রেল চলাচল আপতত বন্ধ বজবজ-শিয়ালদহ সেকশনে। ফলে জোরকদমে মাঝেরহাট সেতু তৈরির কাজ চলছে পূর্ত দফতরের তত্ত্বাবধানে। চার লেনের এই সেতু প্রায় সাতশো মিটার লম্বা হবে। ভারবহন করতে পারবে প্রায় সাড়ে তিনশো টনেরও বেশি— পূর্ত দফতর সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
ভারী যানবাহন চলাচলের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে সেতু। —নিজস্ব চিত্র।
রেললাইনের উপরে সেতুর অংশে গার্ডার বসানোর কাজ শেষ। ৭৮ মিটার অংশে বসেছে স্টিলের পাত। কলকাতায় এই প্রথম কেবল স্ট্রেট রেল ওভারব্রিজ হবে। দেখতে হবে অনেকটা দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো।
আরও পড়ুন: ‘কোভিডের থেকে বেশি স্পিড আমাদের’, আশ্বাস মুখ্যসচিবের
আরও পড়ুন: সংস্কৃত পড়তে পড়তে উধাও... প্রজ্ঞা থেকে নব্য জেএমবি-নেত্রী আয়েশা!
বছর দুয়েক আগে ভেঙে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজের ধ্বংসস্তূপ। —নিজস্ব চিত্র।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে। তার পর অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। তাই ইঞ্জিনিয়াররা আগামী অক্টোবরের মধ্যে দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইছেন। নতুন রূপে মাঝেরহাট সেতু চালু হলে, বেহালা, নিউআলিপুর, ঠাকুরপুকুর-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ আগের মতোই স্বাভাবিক হবে।