ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু।
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে ভাবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে জোকা-বি বা দী বাগ মেট্রোর কাজ এখন বন্ধ রাখতে বলেছে, তাতে ক্ষুব্ধ রেল মন্ত্রক। বিষয়টি নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে বিশদে জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। সূত্রের দাবি, মেট্রোর রিপোর্ট পেলেই তার ভিত্তিতে রাজ্যকে অসন্তোষ জানিয়ে চিঠি লিখবে পীযূষ গয়ালের মন্ত্রক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় দফায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১০ সালে ওই প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে ২০১৬ সালের মধ্যে কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০২০-তে।
জমি অধিগ্রহণে জট, নকশাজনিত সমস্যা ইত্যাদি কারণে এমনিতেই চার বছর দেরিতে চলছে মেট্রো প্রকল্প। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার কাজ বন্ধ করতে বলায় সমস্যায় রেল। সে ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত কবে যে কাজ শেষ হবে, বুঝতে পারছেন না রেলকর্তারা। আজ মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রকল্পে হাজারো সমস্যা। তার মধ্যে রাজ্য প্রশাসন বাধা হয়ে দাঁড়ালে কাজ এগোবে কী করে!’’
আরও পড়ুন:বিপদ মাথায় নিয়ে পথ চলা
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, গত কাল রাজ্যের তরফে চিঠি দিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বলা হয়, মাঝেরহাটের সেতু ভাঙার তদন্তে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটি তদন্ত শেষ না-করা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা হোক। কিন্তু রেল কর্তারা মনে করছেন, ভেঙে পড়া সেতুর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়া শেষ হলেই মেট্রো নিজের কাজ শুরু করতে পারত। এখন কমিটির রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে হবে। ফলে প্রকল্পের খরচ আরও বাড়বে। কাজ শেষের সময়সীমাও পিছোবে।
আরও পড়ুন:জিজ্ঞাসার মুখে সরকারি কর্তারা
এই কারণেই রাজ্যের পদক্ষেপে অখুশি রেল। সূত্রের খবর, রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে কাজ বন্ধ হল, তা বিশদে জানতে চাওয়া হচ্ছে মেট্রো রেলের কাছে। সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকেই মেট্রোর কাজের দিকে আঙুল তুলেছে রাজ্য। সেই অভিযোগেরও আদৌ কোনও সারবত্তা রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলা হচ্ছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, মেট্রো এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠালেই রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে নিজেদের অসন্তোষ জানিয়ে দেবে রেল।