সায়েদ হালদার
পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। গুরুতর জখম হয়েছে আরও এক ছাত্র। মৃত ছাত্রের নাম সায়েদ হালদার (১৭)। সৈয়দ ইরফান আলি নামে অন্য জনের ডান পায়ে আঘাত লেগেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলা হাইস্কুলের পড়ুয়া দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বুধবার পরীক্ষার পরে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিল। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ডাকঘরের কাছে একটি বালি ভর্তি লরির সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লাগলে দু’জনেই ছিটকে রাস্তার পাশের নর্দমায় পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের নর্দমা থেকে তোলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সায়েদের। মহেশতলা থানার পুলিশ ওই লরিটিকে আটক করার পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দুই ছাত্রেরই বাড়ি মহেশতলা পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জালখুরা হালদারপাড়ায়। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, মোটরবাইকটি দ্রুত গতিতে আসছিল। উল্টো দিক থেকে বালি-বোঝাই লরিটি এসে পড়ে। মোটরবাইকের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মহেশতলা থানা জানিয়েছে, লরিটি দুর্ঘটনার পরে পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খিদিরপুর এলাকা থেকে লরিটিকে আটক করা হয়।
এ দিন হাসপাতালে সায়েদের কাকা হাকিম হালদার বলেন, ‘‘গত ১৫ দিনে আমাদের পরিবারের তিন জনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল। কয়েক দিন আগে আমার এক ভাই ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ সায়েদ মারা গেল।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটরবাইকটি ইরফানের। সে-ই এ দিন চালকের আসনে ছিল। হাসপাতালে তার দিদি শাহিদা খাতুন বলেন, ‘‘প্রতিদিনই পরীক্ষার পরে দু’জন একসঙ্গে ফিরত। ভাই খুব সতর্ক ভাবে বাইক চালায়। আজ যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটে গেল, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’