প্রবল বিতর্কের মধ্যেও নিজের অবস্থান থেকে পিছু হটলেন না কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। ফাইল ছবি।
প্রবল বিতর্কের মধ্যেও নিজের অবস্থান থেকে পিছু হটলেন না কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হেঁটেছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। তবে রবিবার মদন দাবি করলেন, এফআইআর করার মতো কোনও কাজ তিনি করেননি। অন্য দিকে, যে আহত যুবককে ভর্তি করাতে গিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত, সেই যুবককে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই রবিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তখন সেখানে হাজির ছিলেন মদনও।
শুক্রবার রাতে ভেন্টিলেশনে থাকা শুভজিৎ রায় (২৪)-কে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে এনে ট্রমা কেয়ারে ভর্তির চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় ওই হাসপাতালে দালাল-রাজ চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি, পরবর্তী সময়ে দলীয় নেতৃত্বকেও কথার মাধ্যমে তিনি আক্রমণ করেন। তবে এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কার্যত অনেকটাই অন্য সুর শোনা যায় মদনের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘এটাই হল মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক মুখ। রাজ্যেরস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তিনিই অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন।” মদন আরও জানাচ্ছেন, এসএসকেএমে ভর্তি করাতে না পেরে ওই যুবককে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শনিবার যুবকের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির আবেদন করেন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে ফোন করেন। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই যুবকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এর পরে কলকাতা মেডিক্যালের এসএসবি ব্লকের আইসিইউতে ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়।
রবিবার মদন বলেন, “এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মনে হয়েছে, তাই এফআইআর করেছেন। তবে আমি কোনও অন্যায় বা বেআইনি কাজ করিনি। অসভ্যতাও করিনি। এক জন রোগীকে ভর্তির চেষ্টা করেছিলাম মাত্র।’’ পাশাপাশি, তৃণমূলবিধায়ক এটাও বলছেন, “কখনও সুযোগ পেলে মুখ্যমন্ত্রীকে সবটা বলব।” শহরের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভেন্টিলেশনে থাকা ওই যুবককে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে এনে ভর্তির চেষ্টাকরতে গিয়েই বিতর্কে জড়ান মদন। শুক্রবার রাতের সেই ঘটনা পরেরদিন অর্থাৎ শনিবার দুপুর থেকে অন্য মাত্রা পায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ঘটনা সম্পর্কে জানান এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এমনকি, কর্তৃপক্ষ এফআইআরও দায়ের করেন ভবানীপুর থানায়।