Calcutta High Court

ছন্দে ফেরার প্রতীক্ষায় নিম্ন আদালত

আলিপুর আদালতের একটি সূত্রের দাবি, চলতি সপ্তাহ থেকেই সেখানে কাজ শুরু হতে পারে।

Advertisement

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি

কলকাতা হাইকোর্টে সোমবার থেকে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হল।

Advertisement

কিন্তু নিম্ন আদালতগুলির স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে কবে? আদালত সূত্রের খবর, ১১ জানুয়ারি থেকেই কলকাতার নিম্ন আদালতগুলিতে কাজ শুরু হতে পারে। আজ, মঙ্গলবার এ নিয়ে কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন আদালতে বৈঠক রয়েছে।

আলিপুর আদালতের একটি সূত্রের দাবি, চলতি সপ্তাহ থেকেই সেখানে কাজ শুরু হতে পারে। লকডাউনের পর থেকে অনলাইনে শুনানির উপরে জোর দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে নিম্ন আদালতগুলির সব জায়গায় অনলাইন শুনানির ব্যবস্থা না থাকায় মামলার নিষ্পত্তিতে কিছু দেরি হয়েছে বলে আইনজীবীদের দাবি।

Advertisement

সূত্রের খবর, আদালতে স্বাভাবিক কাজ চালু হলেও কোভিড-বিধি মানতে হবে। তাই কী কী বিধি আরোপ করে ছন্দে ফেরা যায়, সে ব্যাপারে আজ বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। বিচারকেরা ছাড়াও আইনজীবীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। ডাকা হতে পারে পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিনিধিদের।

আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, এমনিতেই নিম্ন আদালতে মামলার ভিড় বেশি। নানা কারণে নিষ্পত্তিতেও দেরি হয়। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিডের তথ্য দেখলেই সেই ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে। গ্রিডের তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের সব নিম্ন আদালত মিলিয়ে মোট বকেয়া মামলার সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৩১টি। তার মধ্যে ১৮ লক্ষেরও বেশি ফৌজদারি মামলা বকেয়া রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৯০টি মামলা বকেয়া রয়েছে। যার প্রায় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ফৌজদারি মামলা। কলকাতা জেলায় বকেয়া মামলার সংখ্যা ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৫৫৮টি। তার মধ্যে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৭ হাজারের মতো।

আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলছেন, “প্রচুর মামলা জমে আছে। আমরা চাই, এগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। আশা করছি, আদালতও এতে উদ্যোগী হবে।” একই সুর শিয়ালদহ আদালতের আইনজীবী অসীম কুমারের গলাতেও। তিনি বলছেন, “আমাদের দায়রা ও পকসো আদালত খোলা রয়েছে। তাতে কাজ হচ্ছে। আশা করছি, ১১ জানুয়ারি থেকে নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কাজ শুরু হবে। মঙ্গলবার এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। বহু মামলা বকেয়া রয়েছে। সেগুলির দ্রুত শুনানি হওয়া প্রয়োজন।”

আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু দিন আদালত বন্ধ থাকায় মক্কেলদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তাই চলতি সপ্তাহেই আদালত শুরু না করে বরং আগামী সোমবার, ১১ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হলে ভাল। না হলে আদালতের সমন পেয়ে মক্কেল গরহাজির থাকলে পরোয়ানা জারি হতে পারে।

নিম্ন আদালতে আইনজীবীদের মাথাব্যথার মূল কারণ ফৌজদারি মামলাই। কারণ, লকডাউন পরিস্থিতিতে বড় বড় অপরাধ ছাড়াও কোভিড-বিধি অমান্য করার ফলেও বেশ কিছু মামলা হয়েছে। সেগুলি জমে রয়েছে। এর পাশাপাশি অসীমবাবুর মতো বহু আইনজীবীই বলছেন, দায়রা মামলার বিচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দিদেরও সশরীরে হাজির করানোর কথা আদালতকে জানানো হবে। কারণ, অভিযুক্ত হাজির না হলে বহু ক্ষেত্রেই বিচার প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement