আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’, গ্রেফতার লটারির টিকিট বিক্রেতা

এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর দোকান থেকে। পুলিশ ওই দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০২
Share:

এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর দোকান থেকে। পুলিশ ওই দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। কিন্তু ঘটনার তদন্তে নেমে তারা জানতে পারল, লটারির টিকিট চুরির অভিযোগ তুলে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেন এক লটারির টিকিট বিক্রেতা। শুধু তা-ই নয়, ওই ব্যবসায়ীর মোটরবাইক এবং সোনার আংটিও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সেই অপমানের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যবসায়ী। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ ওই লটারির টিকিট বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, ধৃতের নাম অমিতকুমার দত্ত। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পিরপুকুরে তাঁর লটারির টিকিটের দোকান রয়েছে। রবিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে নেতাজিনগর থানার পুলিশ। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম মনোজকুমার বর্মা। তাঁর বাড়ি বাঁশদ্রোণী এলাকার সোনালি পার্কে। নেতাজিনগর থানা এলাকার শ্রীকলোনির একটি দোকান থেকে গত ৬ জানুয়ারি তাঁর দেহ মিলেছিল। সেটি মনোজদের পারিবারিক দোকান। ঘটনার দিন দুপুরে দোকানে একাই ছিলেন তিনি। অনেক ক্ষণ সাড়াশব্দ না-পেয়ে দোকানের দরজা খুলে দেখা যায়, মনোজের দেহ ঝুলছে। শনিবার রাতে মৃতের স্ত্রী ঋদ্ধিসিদ্ধি বর্মা

Advertisement

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের দাবি, ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় অমিতকে। তাঁর কাছ থেকে মনোজের মোটরবাইক এবং আংটিও মিলেছে।

সোমবার মনোজের দাদা কমলপ্রসাদ বর্মা বলেন, ‘‘মৃত্যুর আগের দিন আমার ভাই হেঁটে বেশ কিছুটা দেরিতে বাড়ি ফেরে। প্রথমে ফোন করা হলেও ও ফোন ধরছিল না। পরে শুধু বলেছিল, মোটরবাইকটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেটি একটি দোকানে রেখে এসেছে। পরের দিন দুপুরে দোকানে গিয়ে ও আত্মহত্যা করে।’’ পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, মোটরবাইক এবং হাতের আংটি না থাকায় তাঁদের কিছুটা সন্দেহ হয়েছিল। এলাকার কয়েক জনও অমিতের সঙ্গে গোলমালের কথা জানান।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, মৃতের মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ৫ জানুয়ারি রাতে অমিতের সঙ্গে গোলমাল হয়েছিল মনোজের। পুলিশের কাছে অমিতের অভিযোগ, মনোজ তাঁর দোকান থেকে লটারির টিকিট চুরি করতেন। যা নিয়ে সে দিন তাঁর সঙ্গে ঝামেলাও হয়। পরে তিনি জোর করে মোটরবাইক ও আংটি আটকে রাখেন। এক তদন্তকারী জানান, অভিযু্ক্ত ওই দাবি করলেও লটারির টিকিট চুরির কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement