প্রতীকী ছবি।
ভরদুপুরে খোদ পুলিশকর্মীর বাড়িতে ঢুকে মারধর করে লুটপাট চালাল দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে এক জন মহিলা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহের শান্তিনগরে। দুষ্কৃতীদের মারে মাথায় চোট পেয়েছেন ওই পুলিশকর্মীর স্ত্রী কবিতা মুখোপাধ্যায়। কবিতাদেবীর স্বামী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের কর্মী। তালতলা থানায় কর্মরত। ঘটনার সময়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
কবিতাদেবী জানান, এ দিন দুপুরে তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁদের বাড়ির সামনে ও পিছনে দু’টি গেট রয়েছে। দুপুর একটা নাগাদ দুই যুবক পিছনের গেটে এসে জিজ্ঞাসা করে, “বিবেকদা (দেবাশিসবাবুর ডাক নাম) আছেন? একটু দেখা করব।” কবিতাদেবী জানান, বিবেকবাবু অফিসে। তিনি জানতে চান, বিবেকবাবুর সঙ্গে কী দরকার? উত্তর না দিয়ে দুই যুবক বলে যায়, দুপুর আড়াইটে নাগাদ তারা ফের আসবে।
ওই সময়ে পরিচারিকার আসার কথা ছিল। তাই কবিতাদেবী দু’টি গেটই খোলা রেখেছিলেন। মিনিট ১৫ পরে কবিতাদেবী খাওয়ার টেবিল মুছছিলেন। সেই সময়ে কেউ তাঁকে পিছন থেকে জাপটে ধরে। তিনি পিছন ফিরে দেখেন, ওড়নায় মুখ ঢাকা, এক মহিলা তাঁকে ধরে রেখেছে। আর কালো চশমা পরা এক যুবক তাঁর দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে রেখেছে। ঘরে নিয়ে গিয়ে কবিতাদেবীর নাকে একটি রুমাল চেপে ধরা হয়। তাতে প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। যুবকটি তাঁর কাছ থেকে আলমারির চাবি চায়। তিনি জানেন না বলায় পিস্তলের বাঁট দিয়ে কবিতাদেবীর মাথায় আঘাত করে ওই যুবক। তখন তিনি আলমারির চাবি দিতে বাধ্য হন। চাবি পাওয়ার পরে তাঁকে ফের মারধর করায় জ্ঞান হারান কবিতাদেবী।
জ্ঞান ফিরলে তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই দেবাশিসবাবু এবং খড়দহ থানায় খবর দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে পুলিশ আসে। দেবাশিসবাবু ফিরলে কবিতাদেবীকে নিয়ে হাসপাতালে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের ধারণা, দেবাশিসবাবুর পরিচিত কেউই এই ঘটনায় যুক্ত। সেই সূত্র ধরেই দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।