—ফাইল চিত্র।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ভোটের আগের দিন থেকেই কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনে ২৫টি করে অতিরিক্ত পুলিশ পিকেট করা হবে। ভোটের সময়ে যে কোনও ধরনের গোলমাল বা অশান্তি যাতে ঠেকানো যায়, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিটি ডিভিশনে এই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় পিকেট তৈরি করলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করা যাবে, তার তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, ন’টি ডিভিশনের প্রতিটি থানাকে নিজেদের এলাকায় পিকেটের জন্য জায়গা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। পুলিশ জানায়, পিকেটের দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে অফিসার। তাঁর অধীনে থাকবেন বাহিনীর সদস্যেরা।
আগামী ১৯ তারিখ, লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফায় কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোট। কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ কেন্দ্র ছাড়াও কলকাতা পুলিশের দায়িত্বে থাকবে যাদবপুর এবং জয়নগরের বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। কলকাতা পুলিশ এলাকায় প্রায় চার হাজার সাতশো বুথে ভোট হবে সে দিন। বুথ বা কেন্দ্রের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে থাকলেও শহরের নিরাপত্তা-সহ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরের দায়িত্ব থাকার কথা কলকাতা পুলিশের হাতেই। সেইমতো ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে লালবাজার। ইতিমধ্যেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার প্রতিটি ডিভিশনের কমিশনারদের (ডিসি) নির্বাচনী বিধি মেনে কাজ করার কথা বলেছেন। পাশাপাশি, শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ জন্য ভোটের আগে থেকেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে তাদের নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
লালবাজার জানিয়েছে, পিকেট ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু পরিকল্পনা। সামনের সপ্তাহ থেকেই শহরে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে বিশেষ পুলিশ বাহিনী। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং বিভিন্ন থানার পুলিশকর্মীদের থাকার কথা। এ ছাড়াও, ভোটের আগের দিন থেকেই কুইক রেসপন্স টিম নামবে শহরের পথে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে ওই দলটি গড়ার কথা। পাশাপাশি, লালবাজারের তরফে নিজেদের বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড বা হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড মোতায়েন করা হবে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও কোনও অশান্তির খবর পাওয়া মাত্রই কুইক রেসপন্স টিমের মতো রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াডকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর কথা।
কলকাতা পুলিশের তরফে ডেপুটি কমিশনার (কমব্যাট) যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে যাতে সমন্বয়ের অভাব না ঘটে, তার জন্য একটি বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও, নির্বাচনের জন্য তৈরি হওয়া বিশেষ কন্ট্রোল রুমে পুলিশের সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের থাকার কথা। যাতে কোনও গোলমালের খবর পেলেই বাহিনী দ্রুত পৌঁছতে পারে সেখানে।
লালবাজার জানিয়েছে, ভোটের দিন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার অফিসারদের নেতৃত্বে বিশেষ দল রাস্তায় টহলদারি চালাবে। এক-একটি এলাকার জন্য এক-এক জন ডিসি-কে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়া, লালবাজারের গোয়েন্দাদের নিয়ে সাদা পোশাকের একাধিক দল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় থাকার কথা।