ফাইল চিত্র।
ভোটের জন্য শহরে আসছে ১৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা পুলিশ এলাকার সব বুথেই থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। তাঁদের সাহায্য করতে প্রতি বুথে থাকবেন এক জন করে লাঠিধারী হোমগার্ড বা কনস্টেবল। কাল, সোমবারই ওই বাহিনীর জওয়ানদের কলকাতায় চলে আসার কথা। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও কলকাতা পুলিশ এলাকায় সব বুথের দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। হোমগার্ড কিংবা কনস্টেবলেরা ভোটের লাইন দেখভালের দায়িত্বে থাকলেও কলকাতা পুলিশের অস্ত্রধারী কোনও কর্মী এ বার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে থাকছেন না।
লালবাজার সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আনতে শনিবার গাড়ি পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। একটি কোম্পানির জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাতটি করে গাড়ি। গড়ে প্রতিটি থানা এলাকায় তিনটি করে কোম্পানিকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন প্রতিটি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা সেই ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। আজ, ষষ্ঠ দফার ভোট শেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন। সিআরপিএফ, বিএসএফ ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তালিকায় নাগাল্যান্ড পুলিশের মতো রাজ্য পুলিশও রয়েছে।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় ১৫৭৬টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আছে। বুথের সংখ্যা ৪৭৫৫। পুলিশ সূত্রের খবর, বুথের সংখ্যা অনুযায়ী প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে জওয়ানের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, বুথ ছাড়াও কুইক রেসপন্স টিম এবং স্ট্রং রুমের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে। কুইক রেসপন্স টিমে এক কোম্পানি এবং স্ট্রং রুমের জন্য তিন কোম্পানি বাহিনী থাকছে।