ভাঙাচোরা: এ পথেই চলে নিত্যযাত্রা। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
এখন শীতকাল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ভোরের টানা এক ঘণ্টা বৃষ্টিতেই রাস্তার দফারফা অবস্থা। কারণ পুরো রাস্তাই খানাখন্দময়। রাস্তা ভেঙে বেরিয়ে এসেছে কাদামাটি। কলকাতা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রামকৃষ্ণ মহাশ্মশান সংলগ্ন প্রামাণিক ঘাট রোডের এমন বেহাল দশা হার মানাবে শহরতলির রাস্তাকেও।
বরাহনগর বাজার ধরে প্রামাণিক ঘাট রোডে ঢুকতেই হোঁচট খেতে হয়। অথচ শ্মশানে যেতে অনেককেই ওই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খোঁড়ার কাজ চলেছে। যার জেরে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। দু’টি গাড়ি মুখোমুখি এলে বিপদে পড়েন পথচারী। গর্তে ভরা পথে মোটরবাইক উল্টে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও আকছার ঘটে। এমনকি সাইকেল বা রিকশা উল্টে যাওয়ার ঘটনাতেও যেন অভ্যস্ত বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন রাস্তা মেরামত না হওয়ায় সমস্যা তীব্র হচ্ছে।’’
প্রামাণিক ঘাট রোডের এক দিক বরাহনগর পুরসভার অন্তর্গত। অন্য প্রান্ত কলকাতা পুরসভার অধীনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রতনবাবু ঘাট রোড, প্রামাণিক ঘাট রোডের নীচে কেব্ল থেকে জলের লাইন, নিকাশি লাইন সংযোগের জন্য প্রায়ই রাস্তা খোঁড়াখুড়ি হয়। কিন্তু রাস্তার দুই প্রান্ত দু’টি পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রাস্তা সারাই নিয়ে একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপায়। সূত্রের খবর, প্রায় মাস খানেক আগে পানীয় জলের নতুন পাইপ বসানোর কাজের জন্য প্রামাণিক ঘাট রোড খোঁড়া হয়েছিল। অভিযোগ, এক মাস পার হলেও ওই রাস্তা মেরামত হয়নি।
কেন এমন অবস্থা? কলকাতা পুরসভার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সীতা জয়সওয়ারাকে ফোন বা এসএমএস করা হলে তার উত্তর আসেনি। এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, ‘‘ওই এলাকায় জলের পাইপলাইন পুরনো হয়ে গিয়েছিল। নতুন পাইপলাইন বসাতে রাস্তা খোঁড়া হয়েছে।’’ তরুণবাবুর দাবি, ‘‘রাস্তা খোঁড়ার পরে তার সংস্কারে একটু সময় তো দিতেই হবে প্রশাসনকে। তবে
দ্রুত যাতে সংস্কার হয়, সে দিকটি
দেখা হবে।’’