প্রতীকী ছবি।
আশ্রয়হীন যুবকটির মৃত্যুর পরে দেহ নিতে চাননি আত্মীয়েরা। শেষমেশ তাঁর দাহকাজ থেকে শুরু করে পারলৌকিক ক্রিয়া ও নিয়মভঙ্গ, সব কিছু করতে এগিয়ে এলেন একটি ক্লাবের সদস্যেরা। নিয়মভঙ্গের দিন স্টেশনে থাকা ভবঘুরেদের পাত পেড়ে খাওয়ালেনও।
ঘটনাটি সোনারপুরের বড়তলা এলাকার। ওই ক্লাব সূত্রের খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগে মারা যান দিলীপ প্রসাদ (৩২) নামে ওই যুবক। সাত বছর আগে তিনি ভিন্ রাজ্য থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্লাবের পাশে এক চিলতে ঘরে। ক্লাব সদস্যেরাই তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করতেন। এক সদস্য বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘এখানে আসার পরে আমরা জানতে পারি, সন্তানকে নিয়ে চলে গিয়েছেন দিলীপের স্ত্রী। তার পর থেকেই ওই ঘরে থাকতে শুরু করেন দিলীপ। তবে মাঝেমধ্যেই লিভারের সমস্যায় ভুগতেন। তখন সুভাষগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করতে হত।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ৩০ নভেম্বর মারা যান দিলীপ। এর পরে বিপ্লববাবুরা তাঁকে সৎকার করা থেকে শুরু করে তাঁর পারলৌকিক কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো নিয়মভঙ্গের দিন সোনারপুর স্টেশনের প্রায় ৫০-৬০ জন ভবঘুরেকে খাওয়ানো হয়। বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘উনি আমাদের আত্মীয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। সবাই ওঁর পারলৌকিক কাজে সাহায্য করেছেন।’’