প্রতীকী ছবি।
নাম ভাঁড়িয়ে এবং ভুয়ো পরিচয়পত্র দাখিল করে হোটেলের ঘর ভাড়া নিয়েছিল এটিএম জালিয়াতিতে ধৃত অভিযুক্তেরা। ওই ঘটনায় ধরা পড়া মহম্মদ নাসিম ওরফে রাজবীরকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার একটি হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিল। সেখান থেকে এসে শহরের একের পর এক এটিএমে অপারেশন চালায় তারা। ওই চক্রের একাধিক সদস্য শহর ছেড়ে চলে গেলেও নাসিম-সহ কয়েক জন থেকে গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির ওখলা এলাকার বাসিন্দা নাসিম এটিএম কারসাজির জন্য ছ’মাস আগে এক বার কলকাতায় এসেছিল। তখনই রেকি করে গিয়েছিল সে। নাসিমকে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৯ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিন তদন্তকারীরা আদালতে জানান, ধৃত নাসিমের থেকে একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা সব জায়গায় আধার ও প্যান কার্ডের জাল প্রতিলিপি জমা দিত। হোটেলে থাকার জন্য তারা নিজেদের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছিল। পুলিশের চোখ এড়াতে ঘনঘন সিম কার্ডও পাল্টাত অভিযুক্তেরা।
অন্য দিকে, বিধাননগরে এটিএম-কাণ্ডে ধরা পড়া দুষ্কৃতী-দলের সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। রাজারহাটের নারায়ণপুরের যে এটিএম থেকে ২১ লক্ষ টাকা উধাও হয়েছিল, বুধবার ধৃতদের সেখানে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। সূত্রের খবর, পুনর্নির্মাণের তথ্য অনুযায়ী, ধৃতদের এক জন প্রথমে একটি যন্ত্র নিয়ে এটিএমে ঢুকেছিল। এটিএমের উপরে সেটি বসায় তারা। তাদের কাছে যে কার্ড ছিল, তাতে এক বারে ২০ হাজার টাকা উঠত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ১০০ বারের বেশি কার্ড পাঞ্চ করা হয়েছিল। ধৃতদের সঙ্গে স্থানীয় দুষ্কৃতী-দলের যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা জানতেও তাদের জেরা করছে পুলিশ।