প্রতীকী ছবি
এক জন অপেক্ষা করেছিলেন প্রায় এক বছর। অন্য জন মাস পাঁচেক। শেষমেশ যকৃৎ প্রতিস্থাপন হল দু’জনেরই। মরণোত্তর অঙ্গদান থেকে পাওয়া যকৃৎ প্রতিস্থাপিত হল পর পর দু’দিনে। এসএসকেএমের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির বিভাগীয় প্রধান গোপালকৃষ্ণ ঢালির কথায়, ‘‘গত ডিসেম্বর থেকে পাঁচ জনের যকৃৎ প্রতিস্থাপন হল। পাঁচটিই আমাদের চিকিৎসকেরা একক ভাবে করলেন। আগে দিল্লি থেকে প্রতিস্থাপন-শল্য চিকিৎসকেরা আসতেন। দু’জন গ্রহীতাই স্থিতিশীল রয়েছেন।’’
সূত্রের খবর, ঘাটালের বাসিন্দা ৪১ বছরের এক যুবক দু’বছর ধরে পিজিতে চিকিৎসা করাচ্ছেন। গত ৮ জুলাই, শুক্রবার হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে সৌরভ মাইতি (৩১) নামে এক যুবকের ব্রেন ডেথ হয়। পরিজনেরা অঙ্গদান করেন। তাঁর যকৃৎ পরের দিন প্রতিস্থাপন করা হয় ঘাটালের যুবকের শরীরে। অন্য দিকে, ওই দিনই ব্রেন ডেথ হচ্ছে নিশ্চিত হওয়ার পরে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আনা হয় মঞ্জুবালা ভক্তকে (৫৮)। শনিবার তাঁর ব্রেন ডেথ নিশ্চিত হয়।
প্রৌঢ়ার যকৃৎ রবিবার প্রতিস্থাপন করা হয় বজবজের বাসিন্দা, ৪৭ বছরের এক যুবকের শরীরে। বছর পাঁচেক ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন তিনি। গ্যাস্ট্রো-শল্য চিকিৎসক সুকান্ত রায়, সোমক দাস, তুহিনশুভ্র মণ্ডল-সহ হেপাটোলজি, গ্যাস্ট্রো-অ্যানাস্থেশিয়া এবং আরও ২০-২৫ জন চিকিৎসকের দল দু’দিন প্রায় আট ঘণ্টা করে অস্ত্রোপচার করেন। দু’জন রোগীকেই ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে। হেপাটোলজিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘দেশে সরকারি স্তরে পর পর দু’দিন ধরে প্রতিস্থাপন এই প্রথম।’’