জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে সাধারণ মানুষও। সোমবার ধর্মতলায়। —নিজস্ব চিত্র।
ধর্মতলায় অনশনমঞ্চে বিশ্রাম নিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের মধ্যে ছ’জন শনিবার রাত থেকে না খেয়ে আছেন। এক জন অনশন করছেন রবিবার রাত থেকে। স্বচ্ছতা বজায়ের জন্য রাখা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে দু’টি বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে। একটি ব্যবহার করছেন মহিলা অনশনকারীরা, অন্যটি ব্যবহার করছেন পুরুষ অনশনকারীরা। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের লিখিত অনুমতি মেলেনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, রবিবার পুলিশ জানিয়েছিল, গ্রিন জ়োন হওয়ায় সেখানে বায়ো টয়লেট বসানো যাবে না।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে সমর্থন জানাতে সোমবার সিনিয়র ডাক্তারেরাও ধর্মতলায় অনশনে বসলেন। সকালেই অনশনমঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন কয়েক জন সিনিয়র ডাক্তার। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রথমে যে ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন শুরু করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে আরজি করের কেউ ছিলেন না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আরজি কর হাসপাতালকে ঘিরে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, আমরণ অনশন শুরু হয়েছে, সেখানে সেই হাসপাতালের কেউ কেন অংশগ্রহণ করছেন না? এই প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিরোধের জল্পনাও উঠে এসেছিল। যদিও আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের মুখে জুনিয়র ডাক্তারেরা অন্য কথাই জানিয়েছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, আরজি করের এই মুহূর্তের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং এই সিদ্ধান্ত হয়েছে ঐক্যবদ্ধ ভাবেই। এর পরেই রবিবার রাতে অনশনে যোগ দেন আরজি করের অনিকেত মাহাতো।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের বায়ো টয়লেট নিয়ে জট এখনও কাটেনি। বায়ো টয়লেট বসাতে চেয়ে শনিবার রাতেই লালবাজারে ইমেল করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখান থেকে কোনও জবাব আসেনি। অনশন কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও অনশন চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, অনশনের মাঝে দুর্বল হয়ে পড়লে শৌচাগার ব্যবহার করতে বেশি দূরে যাওয়া সম্ভব হবে না। সেই কারণে অনশনমঞ্চের কাছেই বায়ো টয়লেট প্রয়োজন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে সিসি ক্যামেরার নজরদারি রয়েছে। ডাক্তারেরা নিজে থেকে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন। যাতে তাঁদের কার্যকলাপ সর্ব ক্ষণ নজরে থাকে। কর্মসূচির স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা।
সোমবার সকালে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত।
ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে আছেন আরজি করের অনিকেত মাহাতোও।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের ৩৬ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। এখনও সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি।