কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় পৌঁছেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পাশে রয়েছেন বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষ। ছবি: সারমিন বেগম।
জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস বলেন, ‘‘রাজপথ ছাড়ব না।’’ আর এক জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য বলেন, ‘‘মনে রাখবেন আমাদের আন্দোলন চলছে। চলবে। আমাদের সঙ্গে জনতার চার্জশিট কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। এই আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলন বিচারের দাবিতে।’’ ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন পুলস্ত্য। আর এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে পথে থাকব। আমরা বিচার চাই। যত দিন বিচার না হচ্ছে, তত দিন রাজপথে রয়েছি, থাকব।’’
ধর্মতলার মোড়ে পৌঁছল জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল। চলছে স্লোগান।
ধর্মতলার মোড়ে পৌঁছল মিছিল। — নিজস্ব চিত্র।
চাঁদনি চকে পৌঁছল মিছিল। মিছিল থেকে বার বার বিচারের দাবিতে স্লোগান উঠছে।
মিছিলে শামিল জুনিয়র ডাক্তারেরা। — নিজস্ব ছবি।
ধর্মতলায় ‘জনতার চার্জশিট’ কর্মসূচি রয়েছে ‘অভয়া মঞ্চ’-এর। কয়েক সপ্তাহ আগে আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে এক হয়ে ‘অভয়া মঞ্চ’ তৈরি করেছিল ৮০টিরও বেশি সংগঠন । তারাই ‘জনতার চার্জশিট’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, যেখানে পথনাটক, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ের মধ্যে দিয়ে চলছে প্রতিবাদ।
ধর্মতলার দিকে এগিয়ে চলেছে মিছিল। স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষ। — নিজস্ব চিত্র।
শনিবারের মিছিলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। পরিচিত আন্দোনকারী চিকিৎসকদের অনেককে দেখা যায়নি মিছিলে। সামনেই ডাক্তারির পরীক্ষা রয়েছে। সে কারণে অনেক জুনিয়র ডাক্তার অনুপস্থিত বলে জানিয়েছেন তাঁদের সহপাঠী, সহকর্মীরা।
শনিবারের মিছিলে রয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, স্নিগ্ধা হাজরা, পরিচয় পণ্ডা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়েরা। স্নিগ্ধা, পরিচয় এবং অনুষ্টুপ অনশন করেছিলেন।
বিচারের দাবিতে চলছে মিছিল। — নিজস্ব চিত্র।
উন্নাও, হাথরসের নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিও উঠল ডাক্তারদের মিছিল থেকে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে বিজেপি পার্টি অফিসের দিকে প্রবেশের রাস্তায় উঠল স্লোগান।
মিছিল পৌঁছল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। বিচারের দাবিতে চলছে স্লোগান। মিছিলে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্টরাও। রয়েছেন দেবলীনা দত্ত, চৈতি ঘোষাল। দেবলীনা জানালেন, প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে তাঁর, সে কারণে পথে নেমেছেন।
মিছিলে হাঁটছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত এবং চৈতি ঘোষাল। — নিজস্ব চিত্র।
বিচারের দাবিতে স্লোগান দিয়ে এগিয়ে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সঙ্গে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। কারও হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড, কারও হাতে জাতীয় পতাকা। কেউ কেউ গাইছেন গান। মিছিলের সামনের সারিতে রয়েছেন এক প্রবীণ চিকিৎসক, যিনি হুইল চেয়ারে বসে রয়েছেন। তিনি এসেছেন কানাডা থেকে।
আন্দোলনকারীদের হাতে ন্যায়ের মূর্তি। — নিজস্ব চিত্র।
কলেজ স্কোয়্যার থেকে শুরু হল মিছিল। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের হাতে প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি রয়েছে ভারতের সংবিধান। সামনের সারিতে ন্যায়ের মূর্তি হাতে এগিয়ে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তার।
কলেজ স্কোয়্যার থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। — নিজস্ব চিত্র।
নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও চলেছিল অনশন। সেই অনশনকারী চিকিৎসকেরাও রয়েছেন শনিবারের মিছিলে।
কলেজ স্কোয়্যারে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি জড়ো হয়েছেন সাধারণ মানুষ। ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে যাবেন তাঁরা। মিছিলে যোগদানকারীদের অনেকেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, যেখানে লেখা, ‘বিচার চাই’।
আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে চলছে প্রদর্শনী। এই জরুরি বিভাগ যে বিল্ডিংয়ে রয়েছে, তার চার তলার সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগস্ট উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসকের দেহ। মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির সময় এখানেই ভাঙচুড়ের অভিযোগ উঠেছিল।
আরজি কর হাসপাতালে চলছে ‘দ্রোহের গ্যালারি’। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘দ্রোহের গ্যালারি’ করার ডাক দিয়েছেন ফ্রন্টের সদস্যেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের বিভিন্ন ছবি, পোস্টার, ব্যানার, কবিতা, শিল্প, স্থাপত্য প্রদর্শিত হয়েছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। ফ্রন্টের সদস্যেরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্ত এবং মূল বিষয়টিকে ধরে রাখা হবে।
আরজি কর হাসপাতালে চলছে ‘দ্রোহের গ্যালারি’। — নিজস্ব চিত্র।
নির্যাতিতা চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে শনিবার দুপুর ৩টের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছেন ফ্রন্টের সদস্যেরা। ওই মিছিলে দ্রুত তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবিও তুলতে চলেছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা বার বার জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পথে থাকবেন। আরজি কর-কাণ্ডের পর তিন মাস কেটে গিয়েছে। শনিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘দ্রোহের গ্যালারি’ করার ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের সদস্যেরা।