গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় সাময়িক বিশৃঙ্খলা। নিজের বক্তৃতা শুরু করেও বিশৃঙ্খলার জেরে কিছুক্ষণের জন্য তা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী। সবাইকে শান্ত হওয়ার আর্জি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিত শান্ত হলে ফের বলতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে পরেও এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সভায় এসে কোনও কিছু চাওয়া যায় না। তার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সেই ভাবে করলে আমি নিশ্চয়ই দেখব। আমাকে কেউ ভালবেসে কেউ যদি বলে, থালাবাসন ধুয়ে দাও, আমি করে দেব। কিন্তু আমাকে চমকে-ধমকে কিছু করা যাবে না। নির্বাচনের আগে এসে কেউ কেউ বলছেন, এটা করে দিতে হবে, ওটা করে দিতে হবে। সেটা আমি পারব না। তাতে আমাকে ভোট না দিলে দেবেন না। আমার কিছু আসে যায় না। যাঁরা আমার সঙ্গে থাকবেন, তাঁদের ভোটেই আমার সরকার হয়ে যাবে।’’
তৃণমূলের বিকল্প তৃণমূলই, বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূলের বিকল্প আর কেউ নয়, তৃণমূলই। তৃণমূল আরও উন্নততর হবে।’’
মমতার বক্তব্য:
৫.৩৫: বাংলায় থেকে যাঁরা বাংলাকে খাটো করেন, তাঁদের কেউ ক্ষমা করবে না। সিরাজদৌল্লাকে মানুষ সম্মান করে। কিন্তু মীরজাফরকে কেউ ক্ষমা করেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প তৃণমূলই। অন্য কেউ নয়। তৃণমূল হবে আরও উন্নততর তৃণমূল। ওরা চায় দাঙ্গা, আমরা চাই না দাঙ্গা। অনেক ভিডিয়ো দেখে বিশ্বাস করবেন না। ওগুলো বানায়। কয়েক লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। বলে, আমরা মিথ্যাকে সত্যি বানিয়ে দেব।
৫.৩০: বাংলা তো অনেক ভাল আছে। এই যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপদে পড়ল। বাক্সের উপরে শিশুকে নিয়ে ঘরে ফিরেছেন অনেকে। তখন তাঁদের ঘরে ফেরার জন্য একটা ট্রেন দিল না। একটা টাকা দিল না। আর চোরেদের দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে চার্টার্ড বিমানে।
৫.২৭: আপনারা বলছেন ৬৫০ কিলোমিটার রাস্তা করে দেবেন। আমরা তো ১০০০ কিলোমিটার রাস্তা করেছি। বলছে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত রাস্তা করবে। আরে সে রাস্তা তো হয়ে গিয়েছে। আমরা করে দিয়েছি।
৫.২৬: রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ না কার্ড হচ্ছে, ততক্ষণ একটা বিশেষ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। সেটা দিয়েই চিকিৎসা করাতে পারবেন। কোনও সমস্যা হবে না।
৫.২৪: এখন বলছে এনআরসি, সিএএ স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু আইন তো প্রত্যাহার করেনি। তাই আমরা বলছি, এনআরসি, সিএএ করতে দেব না। আমরা সবাই নাগরিক।
৫.২০: এত মানবদরদী সরকার দেখান সারা পৃথিবীতে। যখন যে সমস্যা হচ্ছে, সরকার সাহায্য করার চেষ্টা করছে। তফশিলি-আদিবাসী ভাইবোনদের বলছি, সব সিট নিয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব আসন নিয়ে গিয়েছে, জঙ্গলমহলের সব আসন নিয়েছে, কী দিয়েছে আপনাদের।
৫.১৫: যান ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে আসুন। ১০ হাজার শিক্ষককে স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের স্থায়ী করা দূরের কথা, চাকরিই খেয়ে নিয়েছে। অসমে গিয়ে দেখে আসুন, এনআরসি-র নামে কত জনকে হত্যা করেছে। বাংলায় শান্তিতে বসবাস করছেন। এখানে কত উন্নতি হচ্ছে।
৫.১২: টিভিগুলো বিজেপির কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আমাকে কেউ ভালবেসে কেউ যদি বলে, থালাবাসন ধুয়ে দাও, আমি করে দেব। কিন্তু আমাকে চমকে-ধমকে কিছু করা যাবে না। নির্বাচনের আগে এসে কেউ কেউ বলছেন, এটা করে দিতে হবে, ওটা করে দিতে হবে। সেটা আমি পারব না। তাতে আমাকে ভোট না দিলে দেবেন না। আমার কিছু আসে যায় না। যাঁরা আমার সঙ্গে থাকবেন, তাঁদের ভোটেই আমার সরকার হয়ে যাবে।