মা রেখার কোলে সদ্যোজাত মমতা। ফাইল চিত্র
বাসে জন্মানোর পরে তার ঠাঁই হয়েছিল এসএনসিইউ-তে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সব সমস্যা কাটিয়ে পাঁচ দিন পরে বাড়ি ফিরল সেই ছোট্ট মমতা।
শুক্রবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশুটি ও তার মা রেখা সরকারকে ছুটি দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম এবং ওজন কম হওয়ার কারণে যে শারীরিক সমস্যা ছিল, তার সবই কাটিয়ে মমতা এখন সুস্থ। পুরোপুরি সুস্থ মা রেখাও। গত ২১ জুলাই বর্ধমানের ছোট নীলপুর আমবাগানের বাসিন্দা অধীর সরকার ও তাঁর স্ত্রী রেখা বাসে করে ধর্মতলার সমাবেশে যোগ দিতে আসছিলেন। বি টি রোডে টবিন রোডের কাছে বাসেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেখা। মা ও সদ্যোজাতকে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের স্থানান্তরিত করা হয় আর জি কর হাসপাতালে।
মুখ্যমন্ত্রীর সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে জন্ম হওয়ায় পরিজন ও প্রতিবেশীরা আদর করে শিশুটির নাম রাখেন মমতা। তাকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন বর্ধমানের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। এ দিন বাড়ি যাওয়ার সময়ে ছোট্ট মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বরাহনগরের চেয়ারম্যান পারিষদ দিলীপনারায়ণ বসু। তিনি বলেন, ‘‘শিশু ও মা কত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবেন, সেটা নিয়ে সকলের চিন্তা ছিল।’’ পাড়ার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে হাসপাতালে হাজির ছিলেন বর্ধমান সদর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা প্রিয়ব্রত ঘোষও। তিনি জানান, বাড়ি ফেরার পরে রেখার হাতে উপহার হিসেবে তাঁরা তুলে দেবেন শিশুর নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
খুদে মমতার জন্মের শংসাপত্র।
এ দিন বাড়ি ফেরার পথে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে সুপার জয়ব্রতী মুখোপাধ্যায়ের থেকে মেয়ের জন্মের শংসাপত্র সংগ্রহ করেন রেখা। যাতে নথিভুক্ত হয়েছে, শিশুর নাম ‘মমতা সরকার’।