বান্ধবীকে কুপিয়ে খুনে যাবজ্জীবন

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে পাটুলি থানা এলাকার শ্রীকলোনিতে বান্ধবী মীনাক্ষী দত্তচৌধুরীকে (৩৫) ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সরোজ রায় নামে এক যুবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বান্ধবীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে পাটুলি থানা এলাকার শ্রীকলোনিতে বান্ধবী মীনাক্ষী দত্তচৌধুরীকে (৩৫) ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সরোজ রায় নামে এক যুবক। তার পরে নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টাও করে সে। গুরুতর জখম অবস্থায় সরোজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পরে সরোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন জেল হেফাজতেই ছিল সরোজ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহিত ও সন্তানের বাবা সরোজের সঙ্গে মীনাক্ষীর প্রায় ছ’বছরের সম্পর্ক ছিল। বিধবা মা ও ছোট ভাইয়ের সংসারে থাকতেন অবিবাহিত মীনাক্ষী। ঘটনার মাসখানেক আগে মীনাক্ষীর মা সরোজকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তার পর থেকেই সরোজ ওই বাড়িতে যাতায়াত কমিয়ে দেয়। ঘটনার দিন সকালে মীনাক্ষীর ভাই বাড়িতে ছিলেন না। মা স্নান করতে গিয়েছিলেন। ঘরে মীনাক্ষী একাই ছিলেন। ওই সুযোগেই সরোজ সেখানে ঢুকে আচমকা ছুরি নিয়ে মীনাক্ষীর উপরে হামলা চালায়।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী আকবর আলি মোল্লা বলেন, ‘‘খুনে ব্যবহৃত ছুরিতে সরোজের আঙুলের ছাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হস্তরেখা-বিশারদেরা। তা ছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রীকে লেখা সরোজের একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছিল। সেই হাতের লেখাও সরোজেরই। সব তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার পরেই বিচারক সরোজকে দোষী সাব্যস্ত করেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement