—প্রতীকী চিত্র।
গত কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টিতেই শহরের একাধিক রাস্তা ভরেছে ছোট-বড় গর্তে। কোনও রাস্তার আবার উঠে গিয়েছে পিচ। যার জেরে সেখানে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। পুজোর আগে তাই শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার হাল ফেরাতে পুরসভা এবং পূর্ত দফতরকে চিঠি দিল লালবাজার। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় কোন কোন রাস্তার হাল খারাপ, তার তালিকা শুক্রবারই পাঠানো হয়েছে। পুজোর আগে ফের এক বার রাস্তার হাল দেখে নিয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। যার ফলে যান চলাচলের গতি বাধা পাচ্ছে। পুরসভা এবং পূর্ত দফতরকে পাঠানো চিঠিতে শহরের ৩৮৫টি জায়গার কথা বলা হয়েছে, যেখানে অবিলম্বে মেরামতি করা প্রয়োজন। শহরে কলকাতা বন্দরের অধীনস্থ বেশ কিছু রাস্তার অবস্থাও খারাপ। সেগুলিও মেরামতির জন্য লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পুজোর কথা মাথায় রেখেই ওই সব বেহাল রাস্তার তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে কিছু রাস্তায়।
পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসের প্রথম দিকে শহরের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে তাদের এলাকার রাস্তার হাল জানতে চেয়েছিল লালবাজার। সেই মতো গার্ডগুলির তরফে গত সপ্তাহেই তাদের এলাকায় কোন রাস্তার কী হাল, তা জানিয়ে দেওয়া হয় লালবাজারে। সেই তথ্য পাওয়ার পরেই তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেন লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের পুলিশকর্মীরা। সূত্রের খবর, তাতেই পুরসভার রাস্তার ৩৫২টি এবং পূর্ত দফতরের রাস্তার ৩২টি জায়গা চিহ্নিত করা হয় মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে বলে।
লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, তুলনামূলক ভাবে খারাপ রাস্তার তালিকায় রয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, দেশপ্রাণ শাসমল রোড, জেমস লং সরণি, ডায়মন্ড হারবার রোড, এন এস রোড, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের কিছু অংশ। আবার বেশ কিছু রাস্তায় গর্ত তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, বি টি রোডের মতো রাস্তা। এই তালিকায় নাম রয়েছে বোড়াল মেন রোড, চৌবাগা রোড এবং শিয়ালদহ উড়ালপুলেরও।