প্রতীকী ছবি
লকডাউনের মধ্যে স্কুল বন্ধ থাকায় তাঁরা টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনও ফি দেবেন না। এই দাবিতে ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের সামনে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। এ বার টিউশন ফি ছাড়া অন্য ফি মকুবের দাবিতে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে চিঠি দিলেন বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।
অভিভাবকদের একটি সংগঠন ‘ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দীর্ঘ লকডাউনে অনেক অভিভাবক কাজ হারিয়েছেন। স্কুলগুলিকে একটু মানবিক হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সরকারের কাছে আবেদন, তাঁরাও যেন উদ্যোগী হয়ে সদর্থক পদক্ষেপ নেয়।’’ আর সাধনবাবুর কথায়, ‘‘লকডাউনের সময়ে অনেক অভিভাবক আর্থিক ভাবে বিপন্ন বলে শুনেছি। বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুলের তরফে ছাত্রছাত্রীদের থেকে অবাঞ্ছিত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। অভিভাবকদের চিঠি পেয়েছি। ওঁদের দাবি খতিয়ে দেখতে হবে। শীঘ্রই শিক্ষা দফতর এবং বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’’
তবে অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষই জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রীর আবেদন মেনে তাঁরা এ বার স্কুলের ফি বাড়াননি। কিন্তু অভিভাবকদের দাবি অনুযায়ী শুধু টিউশন ফি নিয়ে বাকি ফি মকুব করা তাঁদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। কারণ, স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের বেতন-সহ স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্য খাতে খরচ প্রায় একই আছে। কর্তৃপক্ষদের দাবি, তাঁরাও অভিভাবকদের প্রতি মানবিক আচরণই করছেন।