প্রতীকী ছবি।
লকডাউন-পর্বে গণপরিবহণের অভাবের পাশাপাশি দূরত্ব-বিধি মেনে চলার স্বার্থে অনেকেই সাইকেলে যাতায়াত শুরু করেছিলেন। পরিস্থিতি বিচার করে একাধিক রাস্তায় সাইকেল চালানোর অনুমতিও দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু আনলক-পর্বে বাস, লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালু হওয়ায় সাইকেল নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আগের ছাড় প্রত্যাহার করে পুরনো বিধিনিষেধ বলবৎ করেছে পুলিশ।
করোনা আবহে সাইকেলের ব্যবহারকে আরও প্রাধান্য দিতে একাধিক সাইকেলপ্রেমী সংগঠনের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। সাইকেল নিয়ে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য নির্দিষ্ট পরিসর চিহ্নিত করার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। একাধিক সাইকেলপ্রেমী সংগঠন ছাড়াও কয়েকটি পরিবেশ সংগঠন যৌথ ভাবে গত ১৪ ডিসেম্বর ওই চিঠি দিয়েছে। সেখানে কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থার মধ্যে সাইকেলের অন্তর্ভুক্তির দাবি তোলা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে ওই সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠক হতে পারে বলে খবর।
কলকাতার ৬২টি রাস্তায় এখন সাইকেল চালানোয় আংশিক বা পূর্ণ সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাইকেল নিয়ে যাতায়াতে উৎসাহ দিতে নিউ টাউনে সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে অ্যাপ-নির্ভর পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় সাইকেলের জন্য পৃথক রাস্তাও তৈরি হয়েছে।
এ শহরে প্রায় ১২ বছর ধরে বিভিন্ন রাস্তায় সাইকেল চালানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে দাবি সাইকেলপ্রেমী সংগঠনগুলির। তেমনই একটি সংগঠনের অন্যতম পরিচিত মুখ শতঞ্জীব গুপ্ত বললেন, ‘‘সাইকেল নিয়ে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য কলকাতার যান চলাচল ব্যবস্থায় সাইকেলের অন্তর্ভুক্তি জরুরি।’’ পরিবেশ সংগঠন ‘বেঙ্গল ক্লিন এয়ার নেটওয়ার্ক’-এর তরফে বিনয় জাজু বললেন, ‘‘যানজট কমানোর পাশাপাশি বাতাসের মান উন্নত করতে পৃথিবীর বহু দেশেই সাইকেলকে পরিবহণ ব্যবস্থার অংশ করা হয়েছে। চেষ্টা করলে কলকাতাতেও তা হতে পারে। সম্ভবত কলকাতাই একমাত্র শহর, যেখানে সাইকেলের উপরে এত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। এখানে সাইকেল কী ভাবে পরিবহণ ব্যবস্থার অংশ হতে পারে, তা জানাতেই আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’