উদ্ধার হওয়া সেই চিতাবাঘের চামড়া। নিজস্ব চিত্র
মোটা দাঁও মারার আশায় এসেছিলেন দুই ভাই। ক্রেতাদের হাতে চিতাবাঘের চামড়া তুলে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে। সোমবার দুপুরে টালিগঞ্জ আইটিআইয়ের সামনে ব্যাগ থেকে চামড়া বার করে বিক্রির চেষ্টা করতেই বদলে গেল পরিস্থিতি। আচমকাই দুই ভাইয়ের হাত চেপে ধরলেন ক্রেতারা। তার পরে একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে তুলে সোজা নিয়ে এলেন নিজাম প্যালেসের অফিসে। এ ভাবেই খাস কলকাতায় চিতাবাঘের চামড়া বিক্রির অভিযোগে দুই ভাইকে হাতেনাতে ধরেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো এবং রাজ্য বন দফতরের আধিকারিকেরা।
কেন্দ্রীয় বুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর অগ্নি মিত্র জানান, ধৃতদের নাম শঙ্কর মাহাতো এবং পিন্টু মাহাতো। তাঁদের বাড়ি হরিদেবপুরের সুকান্তপল্লিতে। একটি চিতাবাঘের চামড়ার পাশাপাশি দু’টি মোটরবাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ধৃতদের থেকে। কোথা থেকে চিতাবাঘের চামড়া ধৃতেরা পেয়েছিলেন, তা জানতে জেরা চলছে। প্রাথমিক ভাবে সেটি দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, চামড়াটি আসল। তবে চামড়াটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে খবর।
কলকাতাকে কেন্দ্র করে বন্যপ্রাণী বা প্রাণীদের দেহাংশ চোরাচালানের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সিংহশাবক, উল্লুক-সহ একাধিক বিরল প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। বার বার ধরা পড়েছে সাপের বিষও। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই শেষমেশ চক্রের চাঁইয়েরা অধরা থাকে। সোমবারের ঘটনাতেও প্রাথমিক ভাবে বনকর্তারা মনে করছেন, ধৃতেরা নেহাতই বিক্রি করার এজেন্ট। সরাসরি চোরাশিকারে তাঁদের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা কম। জেরাতেও ধৃতেরা দাবি করেছে যে, এক ব্যক্তি তাঁদের চামড়াটি বিক্রির জন্য দিয়েছিল। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।