ধৃত কাজি সাদিক হোসেনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। — নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনার পোশাক পরে ঢুকে পড়া সংগঠনের প্রধানকে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ধৃতের নাম কাজি সাদিক হোসেন। তাঁকে গ্রেফতার করে রবিবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ভারতীয় সেনার পোশাক অপব্যবহারের অভিযোগে সাদিককে শনিবার দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রবিবার সাদিককে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে কয়েকটি লেটারহেডও। এ ছাড়া, সাদিকের বাড়িতে কিছু অপরাধমূলক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে গত ১০ অগস্ট বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের (স্নাতক) এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত। সেই আবহে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেনার উর্দি পরে ঢুকে পড়েন এক দল মানুষ। তাঁরা নিজেদের ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইট্স সোসাইটি’র সদস্য বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় সেনার পোশাক কেন পরেছেন, তার সদুত্তর মেলেনি।
২৫-৩০ জনের ওই দলটির প্রত্যেকেরই পরনে ছিল সেনার পোশাক। মাথার লাল টুপিতে লেখা ছিল ‘ভারতীয় সেনা’। ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় সেনার প্রতীকও। এই দলের প্রধান সাদিক ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইট্স সোসাইটি’র সেক্রেটারি জেনারেল। তাঁকে শুক্রবার নোটিস দেওয়া হয় থানা থেকে।
যাদবপুর থানার এক সাব ইনস্পেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে কাজি এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার পোশাক অপব্যবহারের অভিযোগে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই সূত্রেই সাদিককে নোটিস দেওয়া হয়। প্রথম দিকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শুক্রবার রাতে গার্ডেনরিচ থানায় এসে নোটিস গ্রহণ করেন সাদিক। শনিবার রাতে কাজিকে আটক করে প্রথমে গার্ডেনরিচ থানা এবং পরে যাদবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর এবং তাঁর সংগঠনের উদ্দেশ্য, সেনার পোশাক ব্যবহারের কারণ, যাদবপুরের ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণ সম্পর্কে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাদিককে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।