কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। — নিজস্ব চিত্র।
কোনও জমিদাতা জমি দেওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পেতে সরকারি দফতরের দরবার করবেন, এটা হতে পারে না। জমি যে হেতু জনস্বার্থে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, তাই সরকারেরই দায়িত্ব, জমিদাতাকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণে যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগের মামলায় সোমবার রাজ্যের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাই কোর্ট।
বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের নির্দেশ, জমি নেওয়ার জন্য কোন অঙ্কে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ হয়েছে, সেই হিসাব এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীদের দিতে হবে। তার পর সেই তথ্য নিয়ে তাঁরা অরবিট্রেশন বা মধ্যস্থতার জন্য ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে আপত্তি জানাতে পারবেন। আবেদনের ভিত্তিতে ছ’মাসের মধ্যে মীমাংসা করতে হবে কমিশনারকে। ২০১৩ সালে কেন্দ্রের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করতে হবে।
মামলাকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে তথ্যের অধিকার আইনে রাজ্য জানিয়েছিল, এই রাজ্যে জমি অধিগ্রহণে কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকর করা হয়নি। তবে জাতীয় সড়কের জন্য অধিগ্রহণে ওই আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এখন হাই কোর্টও নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় রাজ্যের বহু এলাকায় জমিদাতারা উপকৃত হবেন।’’
আলিপুরদুয়ারের চ্যাংপাড়া মৌজার তপন দত্ত, সুশীল রায়-সহ কয়েক জনের দায়ের করা মামলায় জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।