Lalbazar

অব্যবহৃত ও বাতিল সামগ্রী হটাতে ই-নিলামের পথে লালবাজার

এত দিন অব্যবহৃত আসবাব থেকে শুরু করে বাতিল বৈদ্যুতিন বর্জ্য— সব কিছুই থানার এক কোণে পড়ে থাকত। সরকারি সম্পত্তি হওয়ার জন্য সেগুলি বিক্রির অনুমতি ছিল না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ০৭:২৩
Share:

বাতিল বৈদ্যুতিন বর্জ্য, সব কিছুই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে থানার বিভিন্ন জায়গায়। প্রতীকী ছবি।

অব্যবহৃত আসবাব থেকে শুরু করে বাতিল বৈদ্যুতিন বর্জ্য, সব কিছুই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে থানার বিভিন্ন জায়গায়। এতে দৃশ্যদূষণ যেমন হয়, তেমনই ওই সব বাতিল জিনিসপত্রে জল জমে বাসা বাঁধে মশা। পাশাপাশি, অব্যবহৃত ওই সব আসবাব মাসের পর মাস জমে থাকায় থানার অনেক জায়গাও দরকারে কাজে লাগানো যায় না। শহরের বিভিন্ন থানার চিত্রটা কম-বেশি একই। এ বার বিভিন্ন থানার সেই বাতিল আসবাব এবং বৈদ্যুতিন বর্জ্য ই-নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করতে চাইছে লালবাজার। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনকে বলা হয়েছে, তাদের এলাকার থানাগুলি যেন এমন বাতিল জিনিসের তালিকা তৈরি করে। ই-নিলাম কী ভাবে হবে, কোন কোন জিনিস নিলামে তোলা হবে— তা নিয়ে বেশ কয়েকটি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারেরা তাঁদের এলাকার থানার ওসি এবং এসিদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন।

Advertisement

এত দিন অব্যবহৃত আসবাব থেকে শুরু করে বাতিল বৈদ্যুতিন বর্জ্য— সব কিছুই থানার এক কোণে পড়ে থাকত। সরকারি সম্পত্তি হওয়ার জন্য সেগুলি বিক্রির অনুমতি ছিল না। পরে সব থানার বাতিল জিনিস একসঙ্গে বিক্রি করে দেওয়া হত। ওই প্রক্রিয়া ছিল সময়সাপেক্ষ। লালবাজার সূত্রের খবর, এই ই-নিলামের উদ্দেশ্য মূলত দু’টি। প্রথমত, বাতিল জিনিসপত্র হটিয়ে থানা চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখা এবং দ্বিতীয়ত, নিলামের মাধ্যমে আদায় হওয়া টাকা দিয়ে থানার জন্য জিনিস কেনা।

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, বাতিল জিনিসপত্রের মধ্যে কিছু সামগ্রী মেরামত করে চালানো সম্ভব কি না, সেটা প্রথমে দেখা হবে। যদি তা করা যায়, তা হলে ওই জিনিসটি সারাই করা হবে। আর যে সব সামগ্রী বাতিলযোগ্য, সেগুলিকে তোলা হবে নিলামে। ডিভিশন ধরে ধরে এইকাজ হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement