মজুত: গাড়ি ভর্তি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে, লেক টাউনে। নিজস্ব চিত্র
শব্দবাজির তাণ্ডব ঠেকাতে এ বার কালীপুজোর রাতে লালবাজারের বিশেষ নজর থাকবে শহরের ৪৮টি পুলিশ আবাসনেও। ওই আবাসনগুলিতে সচেতনতার প্রচার চালাতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
ইতিমধ্যেই শব্দের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে শহরের বহুতল আবাসনগুলিকে সতর্ক করার পাশাপাশি একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে লালবাজার। প্রতি বছরই বহুতলগুলির ছাদ থেকে শব্দবাজি ফাটানোর অসংখ্য অভিযোগ আসে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায় না পুলিশকর্মীদের আবাসনও। তাই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা পুলিশ আবাসনে গিয়ে প্রতিটি থানাকে সচেতনতার প্রচার চালাতে বুধবারই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তালিকায় আছে গোখেল রোড, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স, পার্ক স্ট্রিট, যাদবপুর এলাকার পুলিশ আবাসনগুলি। পুলিশকর্তাদের আবাসনেও এ দিন সচেতনতার প্রচার চালাতে বলেন কমিশনার।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এত বছর পুলিশকর্মীদের আবাসনগুলিতে নজর দেওয়া হত না। ফলে সেখানে দেদার শব্দবাজি ফাটলেও তেমন আমল দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ আসত। এ বার তাই কমিশনারের বার্তার পরে সেখানেও চলবে নজরদারি। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই বহুতলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে বাসিন্দাদের সর্তক করেছি। একই সঙ্গে ৪৮টি পুলিশ আবাসনে যাতে শব্দবাজি না ফাটে তার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’
লালবাজার জানিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে আবাসনের বাসিন্দাদের প্রতিনিধি বা কমিটিকে বলে দেওয়া হয়েছে ছাদের দিকে বেশি নজর রাখতে।
প্রয়োজনে পুলিশ যাতে ছাদে উঠতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে আবাসনের কেয়ারটেকারদের। শব্দবাজি ফাটলেই পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ছাদে নিরাপত্তারক্ষী রাখা প্রসঙ্গে এক পুলিশকর্তার জবাব, ‘‘আবাসনে যাতে শব্দবাজি না ফাটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে থানাগুলি।’’