কাজের খাতিরে শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে হয় বণিকসভার কর্তাদের। কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা, যান চলাচল ব্যবস্থা ইত্যাদির আরও উন্নতির জন্য তাঁদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে আগ্রহী কলকাতা পুলিশ। এক বৈঠকে বণিকসভা সিআইআই-এর ভাবনার কথা জানতে চাইলেন কলকাতা পুলিশের অন্যতম শীর্ষ কর্তা।
কলকাতার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নাগরিকদের ভাবনা তুলে ধরতে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি টাস্ক ফোর্স গড়েছে সিআইআই। বুধবার কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিনীত গোয়েল-এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সিআইআই-এর পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান উমেশ চৌধুরী, বেশ কয়েক জন প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ বণিকসভার ৪০ জনেরও বেশি প্রথম সারির কর্তারা।
সেখানেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে তাঁরা জানান, নেতিবাচক ভাবমূর্তির সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসছে কলকাতা। আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে শহরের পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুলিশের দক্ষতায় উন্নতি ঘটেছে অনেকটাই। বণিকসভা সূত্রের খবর, শুধু বিমানবন্দরের রাস্তাই নয়, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মতো বেশ কিছু রাস্তাতেও গাড়ি চলাচল অনেক সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ।
বণিকসভাটির সন্তোষজনক মনোভাব শুনে অবশ্য এখনই আত্মতুষ্টির কোনও কারণ দেখছেন না অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। তিনি বলছেন, ‘‘এখনও অনেক দূর যেতে হবে।’’ তাই আগামী দিনে কলকাতায় বসবাস করার পাশাপাশি ব্যবসা করাও যাতে সহজ হয়, সে জন্য সার্বিক উন্নয়নে বণিকসভার ভাবনা জানতে আগ্রহী কলকাতা পুলিশ। বিনীতবাবু বণিকসভার সঙ্গে ওই বৈঠকে বলেন, ‘‘আপনাদের প্রচুর ঘুরতে হয়। তাই সেরা বিষয়গুলি আপনাদের নজরে পড়ে। আমরা খোলা মনে আপনাদের মতামত ও সমালোচনা শুনতে তৈরি।’’
উমেশবাবু জানিয়েছেন, সিআইআই-এর টাস্ক ফোর্স কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও কাজ করবে। অবশ্য শুধু নাগরিকদের চাহিদা জেনেই থেমে থাকবে না ওই টাস্ক ফোর্স। উমেশবাবু বলেন, ‘‘নাগরিকদের দায়বদ্ধতা, কর্তব্য ও অধিকার সম্পর্কে তাঁদেরও সচেতন করবে এই টাস্ক ফোর্স।’’