প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়াদের নিরাপত্তা জোরদার করতে আগেই শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কোন কোন স্কুল এবং কলেজের গেটের সামনে বা আশপাশে ওই ক্যামেরা বসানো হবে, এ বার তা চিহ্নিত করেছে লালবাজার। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজের কোন জায়গায় ক্যামেরা বসলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নজরদারি আরও জোরদার করা যাবে, তা-ও ঠিক করে ফেলেছে লালবাজার। ওই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্কুল-কলেজ চত্বরে আরও কড়া নজরদারি চালাতে অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে লালবাজারে।
সূত্রের খবর, বাছাই করা স্কুল-কলেজ চত্বরে ঠিক কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, তা চলতি মাসে ঘুরে দেখে স্থির করেছে পুলিশ, ক্যামেরা বসানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার প্রতিনিধিরা। এর ৭০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে সিসি ক্যামেরা বসানোর বাকি কাজও শেষ হওয়ার কথা।
লালবাজার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ভয়া প্রকল্পের অন্তর্গত ওই প্রকল্পে প্রথম ধাপে শহরের ২৫৬টি স্কুল-কলেজের সামনে ১০২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। যার জন্য খরচ হবে ৩২ কোটি টাকা।
ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ, জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন থেকে ক্যামেরাগুলি এলেই তা নির্দিষ্ট জায়গায় বসানো হবে। সেই মতো আগামী মার্চে
প্রথম দফার কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছু বেসরকারি স্কুল-কলেজ ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে যাতে পুরো এলাকাতেই নজরদারি চালানো যায়, তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন জায়গায়
ওই সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় নজরদারিও আরও জোরদার করা যাবে।
বর্তমানে শহরের রাস্তায় কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরা রয়েছে, যার বেশির ভাগেরই নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক
পুলিশ। বাকিগুলির দেখভাল করে বিভিন্ন ডিভিশন বা থানা। তবে ওই সিসি ক্যামেরাগুলির বেশির ভাগই রয়েছে বড় বা মূল রাস্তায়। কিন্তু অলিগলি বা ছোট রাস্তায় নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশকে এখনও বেসরকারি
ক্যামেরার উপরেই নির্ভর করতে হয়। তবে তার সঙ্গে আরও ১০২০টি সিসি ক্যামেরা কাজ শুরু করলে নজরদারির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত করতেও পুলিশের
সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।