ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, গার্ডেনরিচ উড়ালপুল দিয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম গাড়ি চলায় সেখানে মাঝেমধ্যেই বাইক নিয়ে জয়রাইডে যান স্থানীয়েরা। তাঁর দাবি, উড়ালপুলে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে জয়রাইডের প্রবণতা কমবে।
গার্ডেন রিচ উড়ালপুল। ফাইল চিত্র।
উড়ালপুলটির উদ্বোধন হয়েছে চার বছর হল। পুলিশের হিসেবে, সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই গার্ডেনরিচ উড়ালপুল দিয়ে দিনে মাত্র দেড়-দু’হাজার গাড়ি চলাচল করে। এ বার ওই উড়ালপুলের ব্যবহার বাড়াতে সেটির দু’টি র্যাম্প তৈরি করার জন্য লালবাজারের তরফে কেএমডিএ-র কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, গার্ডেনরিচ উড়ালপুল ও তারাতলা রোডের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ওই র্যাম্প বানানো যেতে পারে।
পুলিশ সূত্রের খবর, চার লেনের গার্ডেনরিচ উড়ালপুল মাঝেরহাট সেতু থেকে গার্ডেনরিচের ব্রুকলিন মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই উড়ালপুল দিয়ে কম সময়ে আলিপুর থেকে গার্ডেনরিচ যাওয়া যায়। কিন্তু দ্রুত যান চলাচলের জন্য উড়ালপুলটি তৈরি হলেও তা তেমন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ। মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে এই উড়ালপুল দিয়ে কিছু সময়ের জন্য যাত্রিবাহী বাস চালানো হলেও বর্তমানে তা বন্ধ। ফলে গোটা উড়ালপুল দিয়ে সারা দিনে মাত্র হাজার দুয়েক গাড়ি চলে বলে সমীক্ষায় জেনেছে পুলিশ। এর পরেই ওই উড়ালপুলের সঙ্গে তারাতলা রোডের ব্রেসব্রিজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে উদ্যোগী হয় লালবাজার।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, দক্ষিণ কলকাতা থেকে যাতে সহজেই দক্ষিণ শহরতলির বজবজ বা মহেশতলায় পৌঁছনো যায়, সেই কারণে গার্ডেনরিচ উড়ালপুলের সঙ্গে ব্রেসব্রিজ এবং তারাতলা রোড যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত নকশায় ব্রেসব্রিজ রেললাইন পার করার পরে দু’পাশ দিয়ে দু’টি র্যাম্প ওঠার কথা। যা হাইড রোডের জৈন কুঞ্জের কাছে গিয়ে উড়ালপুলের সঙ্গে মিশবে। এক কিলোমিটার দীর্ঘ দু’টি র্যাম্প হবে হাইড রোডের পাশে বন্দরের জমিতে। এর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশের এক দফা আলোচনা হয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, গার্ডেনরিচ উড়ালপুল দিয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম গাড়ি চলায় সেখানে মাঝেমধ্যেই বাইক নিয়ে জয়রাইডে যান স্থানীয়েরা। তাঁর দাবি, উড়ালপুলে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে জয়রাইডের প্রবণতা কমবে।