Road condition

পথ-স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে রিপোর্ট চাইছে লালবাজার

শহরের ছোট-বড় রাস্তাগুলির কী হাল, কোন রাস্তায় আলোর সমস্যা রয়েছে— এসবই ওই রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২১ ০৮:২৭
Share:

এবড়োখেবড়ো: এমনই বেহাল দশা কালীঘাটের কাছে এসপি মুখার্জি রোড। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

শহরের রাস্তাঘাটের হালহকিকত জানতে কলকাতা পুলিশের অধীন ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে রিপোর্ট চাইল লালবাজার। শহরের ছোট-বড় রাস্তাগুলির কী হাল, কোন রাস্তায় আলোর সমস্যা রয়েছে— এসবই ওই রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যেই ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকদের।
শুধুমাত্র রাস্তার দশাই নয়, রাস্তার মাঝে ডিভাইডারের কী অবস্থা, ফুটপাতের রেলিং কী অবস্থায় রয়েছে— সে সবই জানাতে হবে ওই রিপোর্টে। এর পরে যে সমস্ত রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন এবং যে সমস্ত রাস্তায় আলোর সমস্যা রয়েছে, সেই নামের তালিকা তৈরি করে তা পুরসভার কাছে পাঠানো হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সংস্কারের অভাবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। সেই সমস্ত রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। হাজরা মোড় থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মোড় পর্যন্ত এসপি মুখার্জি রোড এবং দেশপ্রাণ শাসমল রোডের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একই অবস্থা রয়েছে শহরের আরও বেশ কিছু রাস্তারও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শহরের বিভিন্ন রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল। তাই তাঁদেরকেই শহরের ছোট-বড় রাস্তার অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, শহরের বেশ কিছু রাস্তায় আলোর সমস্যা রয়েছে। সে সব জায়গার নামও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই সৌমেন মিত্র ট্র্যাফিক পুলিশের বুথ বা ট্র্যাফিক সরঞ্জাম যাতে ঠিকঠাক থাকে, সে জন্য জোর দিয়েছিলেন। সব ট্র্যাফিক সরঞ্জাম বা বুথ যাতে পরিষ্কার থাকে, তা দেখারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশকর্মীদের একাংশের মতে, খারাপ রাস্তার জন্য প্রায়ই যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তাই শহরের রাস্তায় যানবাহনের গতি ঠিক রাখতেই এ বার খারাপ রাস্তার একটা তালিকা তৈরি করতে চাইছে লালবাজার, যাতে তা পরে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া যায়।

Advertisement

পুরসভার সূত্রের খবর, গত বছর লকডাউনের কারণে বর্ষার আগে শহরের বহু রাস্তার খানাখন্দ মেরামত করা যায়নি। তার পরেই বর্ষা চলে আসে। তখন পুরো রাস্তা মেরামত করার বদলে তাপ্পি দিয়েই কোনও রকমে খানাখন্দ ভরাট করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু জায়গায় ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের পাইপলাইন ফেটে যাওয়া, মাটির নীচের কেব্লের কাজ বা নিকাশি নালার কাজের কারণেও রাস্তার হাল খারাপ হয়। ফলে সেই সব রাস্তায় গাড়ির গতি বাধা পায়। তবে এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, সাধারণত রাস্তা খারাপ দেখলেই পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগযোগ করে তার মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়। এ ভাবেই এনএসসি বসু রোডের একাংশ মেরামতি করা হয়েছে বলে ওই অধিকারিক জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement