জিরাট সেতু মেরামত করে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করার জন্য সেচ দফতরকে চিঠি দিল লালবাজার। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে শহরের বিভিন্ন সেতু ও উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার পরেই টালি নালার উপরে থাকা তিনটি সেতু, জিরাট সেতু (চিড়িয়াখানার সামনের পুরনো লোহার সেতু), কালীঘাট সেতু ও খিদিরপুরের লোহার সেতু দিয়ে ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এ বার জিরাট সেতু মেরামত করে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করার জন্য সেচ দফতরকে চিঠি দিল লালবাজার। গত সপ্তাহে সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কেন ওই সেতুকে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করে তুলতে চাইছে পুলিশ? সেচ দফতরকে পাঠানো চিঠিতে পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে ভূগর্ভস্থ নিকাশির কাজ চলায় বন্দর এলাকার সত্য ডাক্তার রোডের একাংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে কিছু পণ্যবাহী ভারী গাড়ি বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার ভিতর দিয়ে চলাচল করলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের দিক থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে ডিএল খান রোডের ধনধান্য সেতু দিয়ে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু গত মাসের শেষ দিকে ওই সেতুর কাছে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। কলকাতা পুরসভার ডাম্পারে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পরে ওই রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আর তাতেই টালি নালা পেরিয়ে মূল শহরে ঢোকার বেশির ভাগ সেতু বন্ধ হয়ে যায় পণ্যবাহী ভারী গাড়ির জন্য।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ শহরতলি থেকে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি শুধু টালিগঞ্জ-করুণাময়ী সেতু ও টালিগঞ্জ সেতু ধরে শহরে ঢুকতে পারছে। এর মধ্যে টালিগঞ্জ-করুণাময়ী সেতু ধরে আসতে হলে জোকা থেকে মহাত্মা গান্ধী রোড ধরতে হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে। সেই রাস্তা অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ এবং জনবহুল। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আবার টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের টালিগঞ্জ সেতু ধরতে হলে গাড়িগুলিকে অনেকটা পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে। তাই যাতে ঘুরপথে পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে শহরে ঢুকতে না হয়, তার জন্যই জিরাট সেতু মেরামত করে তা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।