ছবি পিটিআইয়
পঞ্চম দফার লকডাউনে বেশ কিছু ছাড় মেলায় চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শহর। সোমবারের পরে মঙ্গলবারও শহরের রাস্তায় বিক্ষিপ্ত ভাবে যানজট হয়। ট্র্যাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সোমবার থেকে তাই পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপরে পুরনো নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনল লালবাজার। সূত্রের খবর, আগের মতোই দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরে পণ্যবাহী গাড়ি চলবে না। রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে পণ্যবাহী লরি, ট্রাক-সহ ভারী গাড়ি। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ছোট এবং মাঝারি পণ্যবাহী লরি চলাচলে ছাড় থাকছে আগের মতোই। ওই সময়ে বন্দর এলাকা থেকে ট্রাক বা লরি শহরের বাইরে যেতে পারবে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে দ্রুত সর্বত্র পৌঁছতে পারে সে জন্য ২৩ মার্চ লকডাউন শুরু হতেই সারা দিন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তেমনই একটি লরি আটকানোর অভিযোগে চার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছিল লালবাজার।
পুলিশ জানায়, শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মী এবং অফিসারেরা যাতে উপস্থিত থাকেন, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে। তবে দু’সপ্তাহ আগে ঝড়ে উপড়ে যাওয়া সিগন্যাল এবং বিকল হওয়া সিসি ক্যামেরা নিয়ে চিন্তায় পুলিশ। প্রায় ৬০০ সিগন্যাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার অর্ধেকের বেশি মেরামত করা হলেও বিড়লা তারামণ্ডল বা এসএসকেএমের মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিগন্যাল ঠিক করা যায়নি। সেখানে পুলিশকর্মীরা লাইট ব্যাটন নিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় রাতে সমস্যা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: তলানিতে আয়, বেতন দিতে ঘাম ছুটছে পুরসভার
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, বিভাগের প্রায় ১৫০০ সিসি ক্যামেরার মধ্যে বিকল ১০০০-এর বেশি। বেপরোয়া এবং আইনভঙ্গকারী গাড়ি ধরার কাজ ব্যাহত হচ্ছে এর জেরে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, সিগন্যাল চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু একসঙ্গে এত ক্যামেরা সারাতে অনেক সময় লাগতে পারে। প্রয়োজনে দরপত্র ডেকে বিকল ক্যামেরা সারানো হতে পারে। তত দিন বেসরকারি এবং থানার উদ্যোগে লাগানো ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালানো হবে।